প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৩
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আড়িয়াল বিলের শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শতাধিক পরিবার
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অবস্থিত আড়িয়াল বিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল।
|আরো খবর
বর্ষায় আড়িয়াল বিল এখন পানিতে টইটম্বুর, কৃষকেরা এখন কর্মহীন অবস্থায় পড়ে গেছেন, তাই অনেকে এই পরিস্থিতিতে শাপলা বিক্রি করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন।
কৃষি জমিগুলো পানির নিচে থাকায় এমৌসুমে কৃষকের কোন কাজ নেই ।তাই অনেক কৃষক বর্তমানে জীবিকার তাগিদে শাপলা আহরণের পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
এ পেশায় তেমন কোন পুঁজির প্রয়োজন হয়না তাই বিভিন্ন বয়সের মানুষই জীবিকা নির্বাহ করছেন শাপলা বিক্রি করে।
এ বছর বর্ষায় আড়িয়াল বিলে ডুবে যাওয়া জমিগুলোতে শাপলা ব্যাপকভাবে জন্মেছে।
শুধু জীবিকা নির্বাহই না এই শাপলা যেন আড়িয়াল বিলের সৌন্দর্য আরো দ্বিগুন বৃদ্ধি করে তুলেছে।
এ বিলের পানিতে শাপলা ফুটে বিলের সৌন্দর্যবৃদ্ধি আর নয়নাভিরাম দৃশ্য সৃষ্টি করেছে। শাপলা ফুল সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে মৌসুমের শেষে অর্থাৎ কার্তিক মাসে তেমন একটা শাপলা পাওয়া যায় না।
শাপলা সংগ্রহকারী কৃষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলাকার শাপলা সংগ্রহকারী কৃষকেরা ভোরবেলা থেকেই নৌকা নিয়ে বিলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাপলা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন, আর এই শাপলা সংগ্রহের কাজ চলে দুপুর পর্যন্ত।
এ সময় পর্যন্ত একেকজন ২৫ থেকে ৩৫ মোঠা (১ মোঠায় ৬০ পিছ) করে সংগ্রহ করতে পারে। এরপর তারা পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকাররা আবার এসব শাপলা কৃষকদের থেকে সংগ্রহ করে একত্র করেন।
পাইকাররা কৃষকদের থেকে শাপলা ক্রয় করে রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। শাপলা সংগ্রহকারীদের থেকে পাইকাররা প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মোঠা শাপলা ক্রয় করে থাকেন। সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে পাইকাররা
১ মোঠা শাপলা ১৫ থেকে ২০ টাকা করে ক্রয় করেন, গাড়ি ভাড়া গড়ে ৩ টাকা লেবার খরচ গড়ে ১ টাকা আড়তদারি খরচ ২ টাকাসহ মোট ২২ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত পড়ে।
যাত্রাবাড়ী আড়তে প্রতি মোঠা শাপলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
গত কয়েক বছর ধরে এ ব্যবসাটি এলাকায় বেশ প্রসার লাভ করেছে।