শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৩৭

তুলনামূলক চাহিদা থাকায় আখ চাষে মনোযোগী চাষিরা

হাইমচরে আখের বাম্পার ফলন : দামে সন্তুষ্ট চাষি

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি
হাইমচরে আখের বাম্পার ফলন : দামে সন্তুষ্ট চাষি

হাইমচর উপজেলায় মুখরোচক ফসল আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ন্যায্য মূল্য পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তুলনামূলক চাহিদা থাকায় আখ চাষে মনোযোগী হচ্ছেন হাইমচরের চাষিরা। জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই কমবেশি আখের আবাদ হয়েছে। চরাঞ্চলের আবাদি ও অনাবাদি জমিতে কৃষকরা বাড়তি লাভের আশায় ব্যাপকভাবে আখ চাষে ঝুঁকছেন। এবারের ফলনে কৃষকদের পাশাপাশি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র থেকে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার কৃষকরা লোকসান কমাতে ও অধিক লাভের আশায় আখ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। অর্থনৈতিক ও মুখরোচক এই ফসল আবাদ করলে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাজারজাত করা যায় । চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আখের ফলন ভালো হয়েছে। হাইমচর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় যে কোনও ফসল চাষাবাদের জন্য এখানের মাটি বেশ উপযোগী। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হয়ে অসংখ্য খাল ও মেঘনা নদী বয়ে গেছে। এই অঞ্চলে নদী বিধৌত পলিমাটি জমিকে উর্বর করছে।

৩নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়ন চরভাঙ্গা গ্রামের আখ চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, 'আখ আবাদ করার পর একটু পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। গত বছরের তুলনায় এবছর আখে ভালো ফলন হয়েছে। সম্পূর্ণ আখের খেত ব্যবসায়ি ইসমাইল হোসেন এর কাছে চুক্তিতে বিক্রি করে দিয়েছি।

চাষি ইউনুছ আলি বলেন, 'আখ চাষ করলে অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু ঠিকমতো পরিচর্যা করতে হয়। মৌসুমের শেষ সময়ে আখের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে।

আখ চাষী ইছহাক মিজি জানান, চলতি বছর ৪৪ শতাংশ জমিতে রং বিলাশ ও ২০৮ প্রজাতির আখ চাষ করেন। এতে শতাংশ প্রতি খরচ হয় ১২৫০ টাকা। ওই জমির আখ তিনি ক্ষেতেই শতাংশ প্রতি তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ধানের চেয়ে আখে খরচ ও পরিশ্রম কম, কিন্তু আয় বেশি। আখ কোন চাষীকে ঠকায় না বলে দাবি এই কৃষকের।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেওয়ার হোসেন ও মোঃ মনির হোসেন জানান, ‘আখের সঙ্গে আলু চাষ সুখে থাকি বার মাস’ শ্লোগানে উজ্জ্বীবিত হয়ে কৃষক আখ চাষে ঝুঁকছেন। তাছাড়া কৃষক আখ চাষের সঙ্গে সাথি ফসল যেমন- আলু, গাজর, বাধাকপি, ফুলকপি, ও শিম চাষ করে লাভবান হতে পারেন। এ জন্য কৃষকরা আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবব্রত সরকার জানান, আখ চাষ খুব লাভজনক । লাল পচা রোগ ছাড়া তেমন জটিল রোগ নেই এ ফসলে। বর্তমানে আমরা এ উপজেলায় চিবিয়ে খাওয়ার উপেযোগী জাতের আখ চাষের জন্য চাষীদের উদ্বুদ্ধ করছি। এ বছর ২ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। আগামীতে লক্ষমাত্রা আরও বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন এ বছর আখের ফলন ভালো থাকায় বাজারে সরবরাহ বেশি। কেনা-বেচাও ভালো হচ্ছে। ফলন ভালো হওয়ায় আখ আবাদে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। তাই চাষিরা অনেক খুশি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়