প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:৪৭
সোনালী আঁশ ঘরে তুলতে কর্মব্যস্ত শ্রীনগরের পাট চাষীরা
মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার পাট চাষী তাদের জমিতে রোপনকৃত সোনালী আঁশ পাটের ফলন ঘরে তুলতে কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছেন।
|আরো খবর
কৃষক আব্দুলগফুর এই প্রতিনিধিকে জানান, তিনি তার জমিতে রোপনকৃত পাট তিন ধাপে সংগ্রহ করেছেন এবার তার জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।
তবে উৎপাদন খরচের হারের চেয়ে বাজারে পাটের মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় কৃষক লাভের মুখ দেখছেন না।তিনি জানান বীজের দাম অধিক মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে হয়েছে এরপর পাট গাছ পরিচর্যা , পাট কর্তন, পানিতে পাট পচানো ও উত্তোলন করা পাটের গাছ হতে পাটের আঁশ আলাদা করতে শ্রমিক নিয়োগ করে দৈনিক ১০০০ টাকা করে দিতে হয়।এতে অধিক টাকা খরচ হয় সে তুলনায় পাটের দাম কম।তারপরও পূর্ব পুরুষদের পেশা তারা ধরে রেখেছেন।পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়,স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাটকল গুলোকে জাতীয়করণ করেন ৭০ দশকে পাট ও পাট জাত দ্রব্য উৎপাদনের জন্য
এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ পাটকল ছিল বাংলাদেশে আদমজী জুটমিল এছাড়াও চাঁদপুর শহরে অবস্থিত স্টার আলকায়েদ জুটমিল, ডব্লিউ জুটমিল ও হামিদিয়া জুট মিল সহ সমগ্র বাংলাদেশ ৭৭ টি জুট মিল চালু ছিল। সে সময়ে সব উৎপাদিত পাট ও পাটজাত দ্রব্য বিদেশে বিক্রয় করে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হত বলে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হতো।
তখন এসব জুট মিলে শত শত শ্রমিক কর্মকর্তা কর্মচারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল।এসব কারখানায় তখন তারা চাকুরী করে যে বেতন পেতেন তা দিয়ে তাদের পরিবার বর্গের চাহিদা মিটিয়ে খুব স্বচ্ছ সুন্দরভাবে চলতে পারতেন আশির দশকে বিশ্ববাজারে পলিথিন ব্যাগের আগমন ঘটলে,পাট ও পাট জাত দ্রব্যব্যবহার কমে যাওয়ার ফলেও লাভজনকপ্রতিষ্ঠান হিসাবে জুট মিলগুলো আস্তে আস্তে অ লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত হয় এবং বেশিরভাগ জুট মিল বন্ধ হয়ে যায়।যে কটি চালু রয়েছে তাও লাভের মুখ দেখছেন না বলে জানা যায়।