শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:০২

রমজানে চালের দাম বাড়বে না: জানালেন খাদ্য সচিব

অনলাইন ডেস্ক
রমজানে চালের দাম বাড়বে না: জানালেন খাদ্য সচিব

আসন্ন রমজানে চালের দাম বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, চালের দাম বাড়বে না। কারণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে। মার্চ মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে। চালের দাম বাড়বে না ওই সময়।’

সচিব বলেন, ‘আমরা যদি ওরকম অবস্থা দেখি তাহলে ওএমএস আরও বাড়াবো। খাদ্যের ব্যাপারে তো সরকারের কার্পণ্য নেই। খোলা বাজারে বিক্রিটা আরও বাড়াবো। যদি প্রয়োজন হয় ভোক্তার স্বার্থে সরকার চাল আমদানি করবে। তবে আমরা এখনই আমদানিতে যাচ্ছি না এই কারণে যে, কে বা কারা যেন প্রমাণ করতে চাচ্ছে এত খাদ্য উদ্বৃত্ত বলা হচ্ছে, স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হচ্ছে, তারপরও তো আমদানি চলে। ইউএসডিএ (ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার) বলছে, আমাদের উৎপাদন ভালো, তারপর তারা বলছে আমদানিও করতে হবে। আমরা চাচ্ছি আমদানি না করে আমরা যদি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারি, তাহলে আমরা এটা এস্টাবলিস্ট করতে পারবো, আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।’

বর্তমানে ২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুদ আছে জানিয়ে নাজমানারা খানুম বলেন, ‘২০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য মজুত আছে। এরপরও মিলাররা আমার কাছে চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। তার মানে কী? মোটা চালের দাম আর বাড়বে না। এটা কমেই যাবে। ধান উঠলে তো আরও কমবে। কোনো দৈব-দুর্বিপাক না হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় বোরো চাল বাজারে চলে আসবে। ফলে তো ওরকম অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা নেই।’

সচিব বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে দাম বাড়ছে। আমি মনে করি এটা কন্ট্রোল হবে সাপ্লাই (সরবরাহ) বাড়ানোর মাধ্যমে।’ এবার এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে জানিয়ে খাদ্য সচিব বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, ত্রাণ মন্ত্রণালয় আরও কিছু প্যাকেজ হিসেবে রোজার মাসে দেবে, আগে থেকেই শুরু করবে। পরিবার প্রতি যেটা গত বছর প্রধানমন্ত্রী আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন ৩৫ লাখ পবিারকে। এবার এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। কাজেই সরকার আছে, কোনোভাবেই যেন নিম্ন আয়ের বা যারা ভালনারেবল তাদের যাতে কোনো কষ্ট না হয়। আপনারা, আমরা যারা আছি তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছে সরকার।’

গত বছরের তুলনায় এ বছর মোটা চালের দাম কমেছে দাবি করে সচিব বলেন, ‘২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মোটা চালের দাম বাড়েনি বরং আরও কমেছে। একটু বাড়ার টেন্ডেন্সি ছিল। আমাদের ৭০৫টি ওএমএস কেন্দ্র ছিল, এখন আমরা দেশব্যাপী দুই হাজারের বেশি কেন্দ্রে ওএমএস চালাচ্ছি। মাঝখানে আমরা পৌর এলাকায় ওএমএস বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সর্বকালের সর্বোচ্চ ওএমএস সেন্টার এখন আছে। তারপরও দেখছি চালের দাম কমছে না।’

তিনি বলেন, ‘মোটা চালের দাম গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি যা ছিল, এ বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সেটা থেকে এক টাকা কম। মাঝারি চালের দাম দুই টাকা কমেছে। আর নাজিরশাইল যেটা ভদ্র লোকেরা খায়, সেটার দাম গত বছরের তুলনায় সাড়ে তিন টাকা বেড়েছে। মিনিকেট যেটা আমরা মধ্যম আয়ের লোকেরাও খাই, সেটার দাম এক টাকা কমেছে। প্যাকেট আটার দাম গত বছরের তুলনায় আট টাকা বেড়েছে। খোলা আটার দাম সাড়ে তিন টাকা বেড়েছে।’

সরকারিভাবে সাত লাখ ২০ হাজার টন আমন ধান-চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গতকাল (১৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ছয় লাখ ৩০ হাজার টন কেনা হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

চিকন চালের ক্রেতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে উল্লেখ করে নাজমানারা বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান ও সবার সঙ্গে কথা বলে আমরা যেটা দেখেছি- সেটা হলো চিকন চালের ক্রেতা বা ভোক্তা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। আমরা সবাই এখন চিকন চাল খাচ্ছি। আমরা মোটা চাল খাচ্ছি। আমরা যারা চাল কিনি তারা চিন্তা করি দু-টাকা অন্যদিকে বাঁচিয়ে আমি যেন চালটা চিকন খেতে পারি।’

সচিব বলেন, ‘চিকন চাল উৎপাদনের তুলনায় ভোক্তা কিন্তু বেশি। কিন্তু অ্যাকিউরেটলি যদি আপনি ডাটা চান, চিকন চালের চাহিদা কত, উৎপাতন কত? সেটা কিন্তু আমি বলতে পারবো না। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে সেটা চেয়েছি, তারা দিতে পারেনি।’

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়