প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:২৭
পূর্ণিমার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
সাতক্ষীরার দেবহাটায় পূর্ণিমা দাশ নামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একটি মোবাইল ও বই উদ্ধার করা হয়েছে।
|আরো খবর
নিহত শিক্ষার্থী দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের টিকেট গ্রামের শান্তি দাসের মেয়ে ও গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। তার মৃত্যুতে পরিবারের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি পূর্ণিমা। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় প্রতিবেশী তারক মণ্ডলের পরিত্যাক্ত বাড়ির পাশে বাগানে তার অর্ধ উলঙ্গ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা নিহতের পরিবার ও থানায় খবর দেয়
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পূর্ণিমা দাসের রক্তাক্ত মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। উদ্ধারকালে মরদেহটির মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাঁত দ্বারা কামড়ের ক্ষত ও গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী এলাকার শিবু মণ্ডলের ছেলে পার্থ মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে তার পূর্ণিমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। বখাটে পার্থ মণ্ডলই তার তাকে দেখা করার কথা বলে মোবাইলের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ডেকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে তাদের ধারণা। পূর্ণিমা দাসকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পার্থ মণ্ডলের সাথে আরও একাধিক সহযোগী জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ নিহতের পরিবারের। তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে অমানবিক পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি এলাবাসীর।দেবহাটা থানার উপ পরিদর্শক সৈয়দ মোবাশ্বের আলী জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে ও মুখে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শান্তি দাস বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেছেন।