প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৪
প্রতি মিটারের পাশে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ফোন নাম্বার!
জেলাতে এক রাতে পল্লী বিদ্যুতের ২০ শিল্প মিটার চুরি
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ ও ২- এর আওতাধীন এলাকায় শিল্প মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। এক রাতেই প্রায় ২০ টি শিল্প মিটার চুরির খবর পাওয়া গেছে। চুরি যাওয়া প্রতিটি মিটারের পাশে একটি মোবাইল ফোন নাম্বার কাগজে লিখে পলিথিনে মুড়িয়ে টানিয়ে দিয়ে গেছে চোরের দল। পরে আবার বিকাশ নাম্বার দিয়ে ১০ হাজার টাকা করে দিলে মিটার ফেরত দেবে বলে জানায় চোরের দল। এসব মিটার অন্যদের কোনো কাজেই আসবে না বলে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বুধবার (২২ জানুয়ারি ২০২৫) দিনগত রাতে চুরির এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত স'মিলগুলোর অবস্থান চাঁদপুর- কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর অধীনে বলাখাল সাবস্টেশনের আওতায় হাজীগঞ্জের গোগরা থেকে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার মিঠানিয়া ব্রিজ পর্যন্ত মোট ৭টি মিলিয়ে হাজীগঞ্জ থেকে প্রায় ১১টি মিটার চুরি হয়েছে। যার মধ্যে দু-একটি বাদে সব মিটার শিল্প মিটার তথা স' মিল ও গার্মেন্টস্ জুট কাপড় থেকে তুলা তৈরি করার মেশিনের মিটার।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, বাকিলা পশ্চিম বাজারের শুকুর আলমের স' মিল, পূর্ব বাজারের তাহেরের স' মিল, মোস্তফার স' মিল, মহামায়া এলাকার শরীফ হোসেনের স' মিল, বিল্লাল মিজির স' মিল ও দেবপুরের ভুট্টো বকাউলের স' মিলের মিটারসহ প্রায় ২০/২২ টি মিটার চুরি হয়। সব মিটার চুরির ঘটনা একই রাতে ঘটে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে এক ব্যবসায়ী চোরের দেয়া ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে নতুন করে আরেকটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে বলা হয়, ১০ হাজার টাকা দিলে মিটারটি সময়মতো পৌঁছে দেয়া হবে।
মিটার চুরি যাওয়া বাকিলার স' মিল ব্যবসায়ী শুকুর আলম জানান, মিটারের পাশে পলিথিনে মোড়ানো ফোন নাম্বারে আমি যোগাযোগ করার পর আমাকে একটি বিকাশ নাম্বার দেয় চোরেরা। ফোনে তারা আমাকে বলে, তাদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার দিয়ে দেয়া হবে। পরে দেখি তাদের দেয়া নাম্বার দুটোই বন্ধ।
পল্লী বিদ্যুতের বলাখাল সাবস্টেশন অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ সুজন দেবনাথ জানান, আমাদের বলাখাল সাবস্টেশনের অধীনে ৭টি শিল্প মিটার চুরি হয়েছে, আর চুরি যাওয়া সব মিটারের গোড়াতে একটা মোবাইল নাম্বার ঝুলিয়ে রেখে বলা হয়েছে যোগাযোগ করার জন্যে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর জেনারেল ম্যানেজার মো. বেলায়েত হোসেন মুঠোফোনে জানান, গ্রাহকের জিম্মা থেকে যে সকল মিটার চুরি হয়েছে, সে সকল মিটারের বিষয়ে গ্রাহকদেরকে অবশ্যই মামলা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা নতুন মিটার পাওয়ার ক্ষেত্রে মিটারের মূল্য পরিশোধ করে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সংগ্রহে পর্যাপ্ত মিটার থাকলে তা দেয়া হবে, না থাকলে অপেক্ষা করতে হবে। অপর এক প্রশ্নে এ কর্মকর্তা বলেন, যারা মিটার চুরি করেছে তাদের কোনো কাজেই আসবে না এ মিটার, এটা গ্রাহক হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।