প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২:১৫
জেটিসি কলোনীতে দোকান ও বসতঘরে হামলা ভাংচুর, আহত ৫
চাঁদপুর শহরের জেটিসি কলোনীতে চুরি করা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ফেরত না দেয়ার প্রতিবাদ করায় দোকান ও বসতঘরে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষ শিশুসহ একই পরিবারের ৫জন গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর শনিবার রাত ৯ টায় জেটিসি কলোনী (কুলিবাগান) এলাকায় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন জেটিনি কলোনী এলাকার ছিডু গাজীর ছেলে মনির হোসেন (৪৫), মেয়ে ঝর্ণা বেগম (৩০), আব্দুর রহমানের মেয়ে সিমা বেগম (২৬), মনিরের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৩৫) ও রিমার ৩ বছর বয়সী শিশু ছেলে রিহান। ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের লোকজন জানায়, গত শনিবার ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অধিরার ঘরের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি হয়। আরিফ গাজী ও রাকিব নামের দুই যুবক অধিরের ঘরের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি করে সেই মালামাল স্থানীয় আনোয়ার, হেলাল ও সাগরের কাছে জমা দেয়। এক পর্যায়ে চোর শনাক্ত হলে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসার জন্য ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। এ সময় আহত ঝর্ণা বেগম আগে চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার সামনে আনার কথা বললে চোর চক্ররা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে হেলাল খন্দকার, হেলালের মেয়ের জামাই স্বাধীন, ছলেমানের ছেলে শাহজাহান, কালুর ছেলে আনোয়ার হোসেন, হাফেজ পাটওয়ারীর ছেলে মহিন ও সাইদুল এবং নূরা গাজীর ছেলে রুবেল মিলে ঝর্ণা বেগমকে বেদম মারধর শুরু করে। এ সময় তারা তার তলপেটেও ছুরিকাঘাত করে। তাকে বাঁচাতে পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে তারা তাদেরকেও মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। এমনকি হামলাকারী আহত মনির হোসেনের চায়ের দোকান ও তাদের বসতঘরে হামলা ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। তাদের ও উপর এমন হামলার ঘটনায় তারা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন। অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়ে থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।