প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২১
জুসে চেতনানাশক মিশিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, টাকা চুরি
রংপুরের মিঠাপুকুরে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে ছয় লাখ টাকা চুরি ও গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ভাংনী দক্ষিণপাড়া মাটিয়াখোলা গ্রামের শরিফুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার লালচাঁদ মিয়ার ছেলে রুবেল, ওই এলাকার মো. ভোলা মন্ডলের ছেলে আলমগীর ও অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শরিফুল ইসলামের বাড়িতে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় প্রতিবেশী রুবেল মিয়া ও আলমগীর হোসেন জুস ও জিলাপি নিয়ে যায়। শরিফুলের মা শাহিদা বেগম ও ছেলে আরাফাত ইসলাম (৪) সরল বিশ্বাসে জুস ও জিলাপি খায়। শরিফুলের স্ত্রী আদুরি আক্তারকে অনেক চেষ্টা করেও জুস খাওয়াইতে ব্যর্থ হয়। পরে শরিফুলের মা ও স্ত্রী ঘুমিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে রুবেল, আলমগীর ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন। এ সময় ওয়ার ড্রপের ভেতরে থাকা জমি ক্রয়ের সংরক্ষিত ৬ লাখ টাকা চুরি করে নেয়। এতে ড্রয়ারের শব্দে গৃহবধূ আদুরির ঘুম ভেঙে গেলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে তার চিৎকারে দেবর আরিফুল ইসলাম ছুটে গেলে তারা কৌশলে পালিয়ে যায়।
গৃহবধূ আদুরি আক্তার বলেন, গত কয়েকদিন থেকে রুবেল আমাদের বাড়ি সংলগ্ন দোকানে নিয়মিত যাতায়াত করত। বাড়ির মধ্যেই দোকান হওয়ার সুবাদে বাড়ির ভেতরে আসা যাওয়া করত। সেদিন আমাকে জুস খাওয়ার জন্য অনেক জোরাজোরি করে। আমি খাইনি। পরে শ্বাশুড়িকে খাওয়ানোর পর রাতের বেলা আমার ঘরে প্রবেশ করে ৬ লাখ টাকা চুরি করে। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমার চিৎকারে দেবর ছুটে না এলে হয়তো আমি কারও সামনে মুখ দেখাতে পারতাম না। আমি এর বিচার চাই।
শরিফুলের মা শাহিদা বেগম জানান, সেদিন আমি খাবার চাইনি জোর করে জিলাপি আর জুস খাওয়াইছে। কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়েছি। আর কিছু বলতে পারি না। জেগে দেখি আমি হাসপাতালে। একটু আগে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসলাম। জ্ঞান ফিরে শুনলাম টাকা নিয়ে গেছে এবং ছেলের বউকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে রুবেল হোসেনের বাবা লালচাঁদ জানান, বাবা কিছু হয়তো হইছে। কিন্তু ওরা যতটা বলছে ততটা নয়।
মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্যসূত্র :কালবেলা