শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:০৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীকে ৯ টুকরো করলেন স্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার জাকির

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে লাশ নয় টুকরা করে ইট দিয়ে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে স্ত্রী। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ঘটনার চার দিন পর লাশ উদ্ধার এবং স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকীকে আটক করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।

নিহত অরুন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের সুরুজ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রামের মধ্যপাড়ার অরুণ মিয়া প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর পর ৩৫ বছর আগে দ্বিতীয় বিবাহ করেন একই গ্রামের মোমেনা বেগমকে। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে অরুন মিয়া তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান রুবেলের কাছে ঢাকায় চলে যান।

এদিকে অরুন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যান। পরে দেশে এনে তার লাশ দাফন করা হয়। তার বিদেশ যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ করেন। পরবর্তীতে অরুন মিয়া তার জমি বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করেন।

গত শুক্রবার বিকেল থেকে অরুণ মিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বিষয়ে গত সোমবার তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান লুৎফুর রহমান রুবেল বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অরুণ মিয়ার পাশের বাড়ির সৌদি প্রবাসী মনির মিয়ার সেফটিক ট্যাংকির কাছে দুর্গন্ধ পায় এলাকাবাসী। এ সময় তারা টর্চ লাইট দিয়ে ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো কিছু দেখতে পায়। এরপর পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে সেফটিক ট্যাংকের মধ্য থেকে নয় টুকরো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অংশ উদ্ধার করে। এটা অরুণ মিয়ার লাশ বলে তার ছেলে শনাক্ত করে।

প্রতিবেশী কুদ্দুস মিয়া বলেন, গত শুক্রবার আমার সঙ্গে অরুণ মিয়া নামাজ পড়েছে। তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। তার বউ আমাদের বলেছে, শুক্রবার সকালে সে ঢাকা গিয়েছে। এ বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হয়।

পরবর্তীতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমরা মনিরের বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে দুর্গন্ধ পাই। পরে টর্চলাইট দিয়ে দেখি পলিথিনে মোড়ানো কিছু জিনিস। আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা পলিথিন প্যাঁচানো লাশ দেখতে পান। পরে লাশটি শনাক্ত করে তার ছেলে।

অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর সন্তান লুৎফুর রহমান রুবেল বলেন, আমার বাবা সাত বছর আমার কাছে ছিল। কিছুদিন আগে আমার প্রতিবেশী চাচারা বিষয়টি মিটমাট করে দেয় এবং আমার ছোট মায়ের সঙ্গে বাবা থাকা শুরু করে। এর মধ্যে আমার ভাই সৌদি আরবে মারা যায়। তার বিদেশ যাওয়ার সময় অনেক টাকা দেনা ছিল। পরবর্তীতে আমার বাবা জমি বিক্রি করে এই দেনা পরিশোধ করে। গত কদিন যাবত আমি ফোনে বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি কিন্তু যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। পরে গত রোববার আমি বাড়িতে আসি এবং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক তদন্ত সুজন কুমার পাল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি পারিবারিক কলহের জেরে অরুন মিয়াকে মারা হয়েছে। এ ঘটনায় মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল ও মেয়ে লাকিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

তথ্যসূত্র : কালবেলা

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়