প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২১, ১৯:১৭
জেলা প্রশাসকের কথা বলে চালানো হচ্ছে অবৈধ ড্রেজার
জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙ্গিয়ে হাজীগঞ্জে জরিমানার শিকার এক ব্যক্তি নির্বিঘ্নে অবৈধভাবে ড্রেজার চালিয়ে যাচ্ছেন।
|আরো খবর
ঘটনাটি হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর এলাকার। গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত ড্রেজারটি চলছে বলে চাঁদপুর কণ্ঠের এ প্রতানিধি নিশ্চিত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার গত ১ মাসে ৭টি অবৈধ ড্রেজারের ওপর ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করে ৯ লাখ টাকার জরিমানা আদায় করেন। জরিমানা প্রদানকারী সেই ৭টি ড্রেজারের মধ্যে একটি ড্রেজারের মালিক হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ গ্রামের মোঃ মুনাব্বর মজুমদার। গত ঈদুল আজহার আগে অর্থাৎ গত ১৫ জুলাই একই ইউনিয়নের সুবিদপুর মাঠে মুনাব্বর মজুমদারের ড্রেজার জব্দসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার। একই সময় একই আদালত কৃষি জমি ভরাট করার অপরাধে ভরাটকৃত জমির মালিক স্থানীয় সুবিদপুর গ্রামের মর্জিনা আক্তার ও তার ভাই রাজনকে ৫০ হাজার টাকা মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত জব্দকৃত ড্রেজারটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের জিম্মায় রেখে আসেন।
এ দিকে ড্রেজারের জিম্মাদার ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, ইউএনও স্যার ড্রেজারটি আমার জিম্মায় দিয়ে যাওয়ার একদিন পরেই আমাকে না জানিয়ে ড্রেজার মালিক মুনাব্বর মজুমদার একইস্থানে মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন জন আমাকে ফোনে জানালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেজার চালানোর সত্যতা পাই। এর পরেই আমি মুনাব্বর মজুমদারকে ড্রেজার চালানোর অনুমতির বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি সরাসরি বলেন,ডিসি থেকে অনুমতি নিয়ে ড্রেজার চালাচ্ছি।
মৈশাইদ গ্রামের এক চা দোকানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জরিমানা করে যাওয়ার পরের দিন থেকে ড্রেজারটি চলছে। যা এখনো চলছে। এমনকি তিনি সরকারি মাটির রাস্তা খুঁড়ে তার ভিতর দিয়ে ড্রেজার পাইপ নিয়ে গেছেন বহু দূরে। ড্রেজার মালিক মোঃ মুনাব্বর মজুমদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, যাদের জমি তারা ডিসি স্যারের কাছ থেকে অনুমোদন এনেছেন। তাই আমি মাটি উত্তোলন করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনুমোদনের কাগজ ইউএনও’র কাছে জমির মালিক পৌঁছে দেবেন। তবে সরেজমিনে গেলে জমির মালিক ও তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা যায়নি, তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, বিষয়টি দেখছি।
উল্লেখ্য, মুনাব্বর মজুমদার বহু বছর ধরে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়ন ও ৩ নং কালচোঁ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বেপরোয়াভাবে কৃষি জমি থেকে বালি উত্তোলন করে খাল, ডোবাসহ বিভিন্ন জলাধার, কৃষি জমি ভরাট করে চলছে।