প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২২, ২০:১৫
মতলব উত্তরে স্ত্রী রোজিনার প্রতারণায় সর্বশান্ত প্রবাসী শহীদ আলম
পরকীয়ায় ভেঙ্গে যাচ্ছে স্বপ্ন
মতলব উত্তরে স্ত্রী রোজিনা প্রতারণা করে প্রবাসী স্বামী শহিদ আলমের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।পাশাপাশি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা ও বিভিন্ন হুমকি দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। আর এ কারনে ভেঙে যাচ্ছে ২২ বছর প্রবাসী শহিদ আলমের স্বপ্ন।
জানা গেছে, উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার বড় মরাধন গ্রামের বাসিন্দা মৃত সাইজ উদ্দিনের ছেলে প্রবাসী শহিদ আলমের স্ত্রী রোজিনা প্রতারণা করে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমনকি শহিদ আলমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। আবার গত কদিন ধরে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে স্ত্রী রোজিনা ও তার মা। স্ত্রীর এমন ঘটনা দেখে দিশেহারা স্বামী । ভুক্তভোগী স্বামী শহিদ আলম ও তার স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্ত্রীর এমন কার্যকলাপ দেখে স্বামী চাঁদপুর জেলা আদালতে অভিযোগ দায়ের করান।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে অক্টোবর মাসে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক শহিদ আলম ও রোজিনা আক্তারের সাথে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবন শুভ নামে ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারে স্ত্রী রোজিনা বার বার বাহানা দিয়ে স্বামীর নিকট টাকা চাইতো। স্ত্রীর সুখের কথা চিন্তা করে ধার দেনা করেও টাকা পাঠাতো। ৯ বছরের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা পাঠিয়েছে শহিদ আলম। বিয়ের আগে জমানো টাকাও স্ত্রীকে দিয়েছে ঢাকাতে ফ্লাট বাড়ি কিনবে বলে। সেই দলিল ও টাকার হিসাব চাইতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য শুরু হয়। স্ত্রী বিভিন্ন ছলচাতুরি শুরু করে। এমনকি পরকীয়ায় জরিয়ে পরেন রোজিনা।
স্ত্রীর বেপরোয়া জীবন যাপনের ফলে শহিদ আলম বাধ্য হ
হয়ে ৪ঠা মার্চ দেশে আসে এবং ২৪ মার্চ চাঁদপুর আদালত একটি অভিযোগ দাখিল করান।
শহিদ আলম জানান, আমার স্তুী রোজিনা যখন যা চাইতো আমি তা দিতাম। তার কোন দাবী আমি অপূর্ণ রাখতামনা। বিভিন্ন সময় স্বর্ণালংকার, মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংকের মাধ্যমেও টাকা পাঠিয়েছি।
তারপরও রোজিনা ছেংগারচর পৌরসভার দেওয়ানজি কান্দি গ্রামের মৃত-হাসেম ঢালীর ছেলে রবিউলের সাথে পরকীয়ায় জরিয়ে পরে। এমনকি তারসাথে বাসা ভাড়া করে ঢাকায় বসবাস করে। ফ্লাট কিনার নামে যে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছে তাতে ফ্লাট কিনেনি। আমার টাকা দিয়ে দুই শালিকাকে বিয়ে দিয়েছে। শশুরকে বিদেশ পাঠিয়েছে, গরু কিনে দেওয়া হয়েছে এবং শশুর বাড়ি দালান করা হচ্ছে। আমার সারাজীবনের অর্জিত প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আআমি এখন নিঃশ্ব। ভেঙ্গে যাচ্ছে আমার জীবনের স্বপন্ন। আমি এ প্রতারণা সঠিক বিচার চাই।
তাদের বিষয় নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ দরবারও হয়েছে। স্ত্রীকে সঠিক পথে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে বারবার চেষ্টা করলেও স্ত্রী সঠিক পথেই আসেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জনি শিকদার বলেন, তাদের এ ঘটনা নিয়ে সামাজিকভাবে সমাধান করার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। শহিদ আলমের স্ত্রী ও তার পরিবার কারো কথাই শুনেনা।
সেনাইরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ ব্যাক্তি হাজী আলীআকবর জানান, রোজিনা নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে শহিদ আলমের পুরো পরিবারটা সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। এমনকি বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেছে বলে শুনেছি; যা সত্য নয়। সে তার অপকর্ম ঢাকার জন্য এ মামলার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা গ্রামবাসী তাদেরকে সর্তক করে দিয়েছে যে এধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকলে সমাজে বসবাস করতে পারবেনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ আলমের স্ত্রী রোজিনার বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা বলছে আমার মেয়েদের বিয়ে দিতে কোন যৌতুক দিতে হয়নি। আর আমার স্বামী প্রবাস থাকে সেই অর্থ দিয়ে দালান করা হচ্ছে।