প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ২১:৫২
চাঁদপুর তারবিয়াতুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসায় ছাত্রকে বেধড়ক মারধর
চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের হাজী বাড়ি মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে তারবিয়াতুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার শিক্ষক আকিব এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, মোঃ সাব্বির হোসেন আকিব (১২) সে তারবিয়াতুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসায় প্রায় ২৯ পারা কোরআন শরিফ নাজরা শুনিয়েছে। বাকি এক পারা আছে। সে শেষ পর্যায়ে গিয়ে পড়তে একটু কষ্ট হয়েছিলো। সে হুজুরকে ২ পৃষ্ঠা পড়া শোনাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসার হুজুর তার কাছ থেকে আরো ডাবল পড়া আদায় করে নিতে চায়। কিন্তু সে পড়া দিতে না পাড়ায় তাকে মারাত্মকভাবে মারধর করেছে। এতে সে মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বাড়ি এনে এক সপ্তাহ যাবত রাখা হয় এবং সুস্থ হলে পরবর্তীতে তাকে আবার মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। তার বাবা-মা বলে দিয়ে আসে অতিরিক্ত যেনো না মারে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। সেই আগের মতো আবার মারধর করা হয় তাকে। ফলে তার মাথায় খুব আঘাত পেয়েছে এবং জ্বর চলে আসে। পরের দিন বেশি পড়া দেয়ার কথা বলছে ওই হুজুর। কিন্তু বেশি পড়া দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় না। যার ফলে মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে মারধর করলে সে মানসিকভাবে চাপ সহ্য করতে না পেরে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রের বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে মাদ্রাসার খাদেম তাকে নিয়ে আসে। একদিন পর সাব্বির হোসাইনের বাবা মাদ্রাসায় কল দেয় ছেলের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য। বাবার সাথে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরলে তার বাবা জিজ্ঞেস করে। সাব্বির তার পিতাকে জানায়, রোজা ছিলাম। আমাকে আজকে মারাত্মকভাবে মেরেছে। তাতে আমার হাত ফুলে গেছে, নাড়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে এবং সাথে জ্বর চলে আসে। সাব্বিরের কথা শুনে তার পিতা মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন।
|আরো খবর
এ ব্যাপারে সাব্বিরের ভাই মোঃ রাব্বি খান জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আকিব তার ছোট ভাইকে বেধড়ক মারধর করেন। যার ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়িতে এনে তাকে চিকিৎসা করাই। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক মোঃ কাদির গাজীর ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।