প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২২, ২১:২৯
গ্রামীণফোন সেন্টারে চুরির ঘটনাটি রহস্যময়!
চাঁদপুর শহরের মরহুম আঃ করিম পাটোয়ারী সড়কস্থ ঘোষপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন জননী ভিলার নীচতলায় অবস্থিত গ্রামীণ ফোন সেন্টারে চুরির ঘটনায় রহস্যের দানা বেঁধেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
তাছাড়া বহুতল ভবনের নীচতলায় এই প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে চুরি করতে হলে একমাত্র সামনে সার্টার ভেঙ্গে এবং সার্টারের পর তালা দেওয়া গ্লাস ভেঙ্গে ভেতরে ডুকতে হবে। এই অবস্থায় চোরের দল দুটি বাঁধা ডিঙ্গিয়ে চোরের দল চুরি করতে হলে যে শব্দের সৃষ্টি হতো সেই শব্দের কারণে আশপাশের লোকজন শব্দ শুনতে পেতো। শুধু তাই নয়, রাত ১১টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা একটানা এই সেন্টারের আশপাশে ডিউটি অবস্থায় থাকে। অপরদিকে আদর্শ মুসলিমপাড়া ও ঘোষপাড়ার মুখে একপার্শ্বে ভবনটি হওয়ায় সবসময় পথচারীদের আনাগোনা থাকে। ফলে এতো সুক্ষ্মভাবে চোরের দল চুরি করে নিবিঘ্নে চলে যাওয়া খুব অসম্ভব। শুধু তাই নয়, আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এ ঘটনার কিছুটা হলেও রহস্য উদঘাটন করা যেত।
কারণ ইতিমধ্যে চাঁদপুর শহরের দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় আশপাশের সিসিটিভির সংগ্রহ করে মডেল থানা পুলিশ চোর ও ঘটনা উদ্ঘাটন করতে পেরেছে। ফলে গ্রামীণফোন সেন্টারে এই চুরির ঘটনার পর আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হয়েছে।
কিন্তু একটি গোপন সূত্রে জানা যায়, এই চুরির ঘটনার পর আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ এ ঘটনার কোনো ক্লু পায়নি বলে জানা গেছে।
অপরদিক গ্রামীণফোন সেন্টারটির চুরি যেদিন হয়েছিলো অর্থাৎ ২০ মার্চ রাতে সেন্টারের ডিস্টিবিউটর বা মালিক নিজে উপস্থিত থেকে বন্ধ করে যায়। পরদিন সকালে সেন্টারে কর্মরত একজন সদস্য কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী পরদিন সকালে যথাসময়ে এসে সেন্টারের ৩টি তালার স্থলে একটি তালা দেখে এবং তালাটি নতুন বলে তিনি মালিককে ফোন করে ৩টি তালার স্থলে একটি তালা এবং তাও আবার নতুন তালা এমনটি মালিককে মোবাইলে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করে পুলিশ নিয়ে সেন্টারের ঐ তালাটি ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে।
কিন্তু রহস্যময় কথা হচ্ছে একজন ডিস্ট্রিবিউটর এমন ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে না এসে, না দেখে পুলিশকে অবহিত করে পুলিশ নিয়ে ভেতরে ডুকার বিষয়টিও রহস্যময় বলে জানা গেছে।
অপরদিকে ঘটনার দিন পুনরায় প্রতিষ্ঠানের ভেতর ও বাহিরের সিসিটিভি সংযোগ অব্যাহত করাও হয়। এদিকে এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তদন্তদাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
তাই স্থানীয়দের অভিমত মুলত এই গ্রামীণফোন সেন্টারে চুরির ঘটনাটি সম্পূর্ণরূপে একটি রহস্যময় ঘটনা। তাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে এ ঘটনার ক্লু উদঘাটনের জন্যে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সাধারণ ও সচেতন নাগরিকরা।