শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:০৯

মতলব দক্ষিণে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় স্কুল ছাত্রীর ভাইদের মারধর

মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ
মতলব দক্ষিণে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় স্কুল ছাত্রীর ভাইদের মারধর

মতলব দক্ষিণে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় ওই ছাত্রীর বড় ভাইদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের হুরমহিষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার পুটিয়া তোফাজ্জল হোসেন ঢালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একই গ্রামের সাগর জমাদারের বখাটে ছেলে জিসান জমাদার দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। বখাটে জিসান জমাদারসহ তার সহযোগীরা গত ৩১ ডিসেম্বর আবারও উত্ত্যক্ত করলে ছাত্রীর বড় ভাই মো. মেহেদী হাসান প্রতিবাদ করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হবুকে অবহিত করলে তিনি ওই অভিযুক্তদের শাসিয়ে ভবিষ্যতে যেন আর এধরনের অপরাধ না করে সেজন্য সতর্ক করে দেন।

এ ঘটনায় গত ১ জানুয়ারি সকালে উপজেলার হুরমহিষা গ্রামের সাগর মিয়াজীর ছেলে জিসান (১৯), রফিকুল ইসলাম জামাদ্দারের ছেলে মেহেদী হাসান (১৮), তাফাজ্জল জামাদ্দরের ছেলে আল-আমিন (১৮), আলমগীর মিয়াজীর ছেলে রাকিব ও মাহবুবসহ ১০ - ১২ জনের একটি দল ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার (১ জানুয়ারি) ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই মেহেদী হাসানকে স্থানীয় পুটিয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে তার অপর দুই ভাই ডালিম প্রধান ও হারিস প্রধান মেহেদী হাসানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে।

এতে আহতরা মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা আবু তাহের প্রধান বলেন, আমার মেয়েকে জিসান জমাদার দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। তাদের ভয়ে সে স্কুলে যেতে পারছিলো না। এ ঘটনার পর আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হবু। মতলব দক্ষিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়