প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:১৫
ওয়াকওয়ে পাল্টে দিতে পারে শাহরাস্তির দৃশ্যপট
প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের বসবাস শাহরাস্তি উপজেলায়। হযরত শাহ রাস্তি বোগদাদী (রঃ) নামে এই উপজেলার নাম করণ করা হয়। এই উপজেলার আরেকটি ঐতিহ্যবাহী স্হান মেহের কালীবাড়ি। শিক্ষার হারে এগিয়ে থাকা এ উপজেলার জনগনের জন্য নেই কোনো বিনোদন ব্যবস্হা। এই অভাবটুকুর কথা চিন্তা করে ব্যাক্তি উদ্যোগে মাঝে মধ্যে কিছু বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠার প্রয়াস দেখা গেলেও কোনটিই সফলতার মুখ দেখেনি। বিগত দু'বছর ধরে শাহরাস্তি উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ( ছিখটিয়া) দুটি কপি হাউস সহ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠলেও মানুষের মাঝে রয়েছে নানা অভিযোগ। সম্প্রতি সময়ে শাহরাস্তি উপজেলা সহ নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু আঞ্চলের জনগণের মাঝে এই জায়গাটি বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই জায়গাটি দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে ওয়াকওয়ে ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড়ে ছিখটিয়া ব্রিজ হতে সূচিপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওয়াকওয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় ৪২ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জানাযায় প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মাত্র ৯ মাসে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী একবছরের মধ্যে এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়াকওয়ে বাস্তবায়নের রুপকার মহান মুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টর কমান্ডার শাহরাস্তি হাজীগঞ্জ উপজেলার অভিভাবক মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। বলেন বেঁচে থাকলে এখানে এসে সময় পার করবেন তিনি। ওয়াকওয়ে দেখে যাওয়ার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। মনোরমা পরিবেশে কর্মব্যস্ত জীবনের কিছুটা সময় পর করে প্রশান্তি পাওয়া যাবে ওয়াকওয়েতে। থাকবে পায়ে হাঁটার পথ, রেষ্টুরেন্ট, বসার স্হান। বিনোদনের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় অনেক কিছু। প্রযাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দু'পাশে গরে উঠবে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে এটি হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অন্যতম ওয়াকওয়ে। শাহরাস্তি উপজেলার উন্নয়নের দৃশ্যপট পাল্টে দিবে এই ওয়াকওয়ে।