প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২১, ২২:০০
ভ্রমণ বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ইউএনও গাজী শরিফুল হাসানের লেখা ‘বার্মিংহাম ডায়েরি’
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসানের লেখা ‘বার্মিংহাম ডায়েরি’ শীর্ষক ভ্রমণ বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি ‘বার্মিংহাম ডায়েরি’ শীর্ষক ভ্রমণ বিষয়ক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
|আরো খবর
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি প্রকাশ করেছে চন্দ্রাবতী একাডেমি।
লেখক তাঁর যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন সময়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, এমপি এর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা যে, তিনি ‘বার্মিংহাম ডায়েরী’র ভূমিকা লিখেছেন । শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর মূল্যবান সময় থেকে খানিকটা সময় বের করে নিজ বাসভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে লেখক গাজী শরিফুল হাসান ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ইরতিকা হাসান অরুণিমা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শাকেরা আহমেদ, প্রকাশক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কাজল, প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম হারুণ, চারুলিপি প্রকাশনার কর্ণধার জনাব হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
লেখক গাজী শরিফুল হাসান জানান, বার্মিংহাম ডায়েরি বছর দুয়েক আগে যখন করোনার ভয়াল থাবা পৃথিবীর বুকে পড়েনি, ঠিক তার পূর্বেই আমার ছোট আম্মু ইরতিকা হাসান অরুণিমার সাথে আমরা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম শহরে কিছুদিনের জন্য থাকতে গিয়েছিলাম। মূলতঃ তাঁর কারণেই সৃষ্টিকর্তা ‘ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামে’ পড়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন আমাদের। “ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে” আর এতো পৃথিবীর মধ্যেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে কলাভবনের চেয়ে বেশী সময় গেছে টিএসসি আর ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায়। বার্মিংহাম গিয়েও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। ঘুরে বেড়িয়েছি বার্মিংহামের গলি ঘুপচি-তে, সুযোগ পেলে যুক্তরাজ্যের পথে প্রান্তরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে লেকচার, সেমিনার আর অ্যাসাইমেন্টের মধ্যে দিয়ে পুঁথিগত যে বিদ্যা অর্জিত হয়েছে তাঁর চেয়ে ঢের বেশী জ্ঞান অর্জন করেছি বিভিন্ন বাস্তব অভিজ্ঞতার পথ মাড়িয়ে।
তিনি বলেন, বাস্তব সেই অভিজ্ঞতাগুলোকে নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সাথে মিশিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি “বার্মিংহাম ডায়েরি” নামক এই বইখানিতে। ভিন্ন এক সংস্কৃতিকে তুলে ধরার দুরুহ এক চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু সফল হতে পেরেছি। কিন্তু এটা সত্যি যে, আমি নিজে খুব তৃপ্ত এই ভেবে যে, শেষ পর্যন্ত ‘বার্মিংহাম ডায়েরি’ আলোর মুখ দেখেছে। করোনার কারণে বারবার সময় পরিবর্তনের কারণে এক সময় মনে হচ্ছিলো যে, এই বছর মনে হয় আর আলোর মুখ দেখবে না।