প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৩১
বাবুরহাট বাজার ব্যবসায়ীদের সুপ্রিমকোর্টে আপিল ও রিট পিটিশন
নোটিশ ও উচ্ছেদ না করার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ
সুপ্রিমকোর্টের আপিল ও রীট পিটিশন পেন্ডিং থাকা অবস্থায় আর কোন নোটিশ বা উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীগণ। জেলা পরিষদ থেকে লীজ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা ৮২ জন ব্যবসায়ী গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে এ অনুরোধ করেন।
|আরো খবর
জানা যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার পৌর ১৪ নং ওয়ার্ডস্থ ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট বাজারের চাঁদপুর জেলা পরিষদের সম্পত্তি লিজ নিয়ে অবকাঠামো নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। এজন্য ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়মত জেলা পরিষদকে টেক্স প্রদান করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানায়, বর্তমানে লিজকৃত ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা না করে ব্যক্তিস্বার্থে অধিক মুনাফার জন্য উচ্চমূল্যে দোকান বরাদ্দের জন্য চাঁদপুর জেলা পরিষদ এই সম্পত্তিতে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা এই উচ্চমূল্যের সিডিউল বিপক্ষে হাইকোর্টে রিট পিটিশন ৪২৬০/২০১৯ দায়ের করেন ও হাইকোর্ট রুল ও নিশেধাজ্ঞা জারি করেন। করোনাকালীন সময় ব্যবসায়ীদের দায়েরকৃত রিট পিটিশন টি হাইকোর্ট খারিজ করে দেয় বলে জানায়। উক্ত রিট পিটিশন খারিজ এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীগণ সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল ১৭৭৫/২০২১ দায়ের করেন যা শুনানীর জন্য পেন্ডিং রয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে বাজার ব্যবসায়ীগন জেলা পরিষদের কাছে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ ০২ নং বিএস খতিয়ানে ১২৫১/২৫৪৩ নং দাগে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। উক্ত দাগে বাবুরহাট বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সুপ্রিমকোর্টে একটি আপিল চলমান রয়েছে। এছাড়াও এই দাগ নিয়ে পরিবেশ আইন ও জেলা পরিষদের আইন এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন ১০৯১/২০২০ দায়ের করলে হাইকোর্ট ১২৫১ দাগের উপর রুল ও স্থিতাবস্থা জারি করেন। উক্ত স্থিতাবস্থা এখনো বহাল রয়েছে বলেও জানা যায়। এছাড়াও উপরোক্ত হাইকোর্টে চলমান রীটে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ, সদর ইউএনও সদর সহকারী কমিশনার ভূমি কে পক্ষভুক্ত করা হয়।
ব্যবসায়ীদের করা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনের আরো উল্লেখ করা হয় আদালতে স্থিতাবস্থা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসক দপ্তর হইতে কোন ধরনের নোটিশে উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন বেআইনি ও আদালত অবমাননার শামিল। এছাড়াও আবেদনে বলা হয় আপিলেট ডিভিশনে কোন মামলা পেন্ডিং থাকা অবস্থায়, কোন স্থিতাবস্থা না থাকলেও নিম্ন কোট কিংবা কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে না।
ব্যবসায়ীগণ তাদের আবেদনে আরও উল্লেখ করেন ১৯৪৭ সাল হতে বর্তমান পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা লিজ ট্যক্স প্রদান করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আধাপাকা অবকাঠামো নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমান জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ ইচ্ছাপূর্বক খাজনা না নিয়ে তাদেরকে ডিফোল্ডার বানানোর চেষ্টা করছেন বলেও তারা উল্লেখ করেন।