শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৯:০৭

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষায়

নদীতে ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের টহল

নদীতে ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে টাস্কফোর্সের টহল
মিজানুর রহমান

মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে অভিযানের প্রথম দিন নদীতে টহল দিয়েছে ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে জেলা টাস্কফোর্স।

জেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ ৪ অক্টোবর সোমবার সকালে নৌ বহর নিয়ে পদ্মা-মেঘনায় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নাসির উদ্দীন সারোয়ার, মেয়র জিল্লুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সহকারি কমিশনারগণ, জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, নৌ পুলিশ কোষ্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস সদস্য ও সাংবাদিকগণ টহল টীমের সঙ্গী ছিলেন।

এর আগে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের বড় স্টেশন মোলহেডে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। এতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌর মেয়র বক্তব্য রাখেন।

পরে নৌ র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম দিন প্রশাসনের অভিযান চলাকালীন সময় নদী ছিল অনেকটাই শুনশান নিরব। কোন জাল নৌকা দেখা যায়নি। নদীর পাড়ের মৎস্য আড়তগুলো বন্ধ ছিল।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সরকার এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৪ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোট ২২ দিন সময়কাল সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন জেলেদের সচেতন ও সতর্ক করে সোমবার নদীতে অভিযান করেন জেলার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ। লক্ষ্য একটাই মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২১ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন।

এবার জেলা টাস্কফোর্স কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের কার্যক্রম এবং অপারেশন্যাল স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হয়। একই সাথে জেলে পল্লীসহ অন্যান্য জায়গায় এ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে মাইকিং এবং প্রচার প্রচারণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

নিষিদ্ধ ২২ দিন মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের যেন জীবিকা সংকট না হয়, সেজন্য সরকার প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে ভিজিএফ (চাল) প্রদান করবে। চাঁদপুর জেলার আওতাধীন ৭০ কি.মি. নদীপথে যেন ইলিশ নিধন না হয়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ড এবং অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত থাকবে।

স্থল ও নৌপথে বিভিন্ন কৌশলগত জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে এবং সেসব স্থান থেকে বিরতিহীনভাবে টহল ও অভিযান পরিচালিত হবে। সেইসাথে স্থল ও নৌপথে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হবে।

এ দিকে চাঁদপুরে ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের প্রথম দিন সোমবার চাঁদপুর সদর,হাইমচর ও মতলবে ৪ টি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ২০ লক্ষ বর্গমিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়