প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৩৭
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প
জলাবদ্ধতায় র্যাশ না কাটতেই ফের জলাবদ্ধতায় কৃষকের মাথায় হাত
চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে জলাবদ্ধতার র্যাশ না কাটতেই ফের জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে প্রবল বর্ষণের কারনে ও পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতায় মারাত্মক এ জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়। গত মাসের বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার র্যাশ কেটে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই এ জলাবদ্ধতা কৃষকের মাথায় হাত।
|আরো খবর
বৃষ্টিতে ৩২ বছরের রেকর্ড জলাবদ্ধতা। ধ্বংস কৃষকের সপ্ন। প্লাবিত মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মতলব উত্তর উপজেলার সব অঞ্চল। বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাঘাট পানিতে থই থই করছে। বিলগুলোতে ফসলি জমি, মাছের ঘের ও সবজি পানির চাপে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ময়লা আবর্জনায় দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। যার কারনে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি, রাস্তা ও মৎস্য খামার।
গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের ভারী বর্ষণে এ বছর জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সে জলাকদ্ধতায় রোপা আমনের বীজ তলা,রোপা আমন, আউস ধান ও সবজির মারাত্মক ক্ষতি হয়। কৃষকরা সে ক্ষতি পর আবারও জমিতে আবাদ করে। এবারের জলাদ্ধতায় আবার তাদের আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় কৃষকের কপালে ভাজ ও মাথায় হাত।
হানির পাড় গ্রামের লাল মিয়া,শহর আলী, আলী আজমসহ স্থানীয় বহু কৃষক জানান, এবারের ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় তাদেরসহ বহু কৃষকের তিনবার পর্যন্ত তৈরি করা আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও আউস ধানের সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে প্রকল্প এলাকায় এক-তৃতীয়াংশ জমি চাষবিহীন অবস্থায় খালি পড়ে থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, গত মাসে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবার নতুন আবাদ করেছে। এ জলাবদ্ধতা কৃষক মারাত্মক ক্ষতির সমূখিন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান, ভারী বর্ষণে সেচ প্রকল্পের ভিতরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হযেছে। আমি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। পাউবোর নিস্কাশন খাল গুলো সংস্কার করাই জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়ার মূল উপায়। আমি এ বিষয়ে পাউবোর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পাম্পের মাধ্যমে পানি দ্রুত নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাউবোর পানি নিস্কাশন খালগুলো দখল মুক্ত ও সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।