প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২১, ০১:৫৫
হাসপাতালের লিফট নষ্ট
প্রসূতির বাচ্চা হলো সিঁড়িতে!
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর জেলা হাসপাতালে এক গর্ভবতী নারী সিঁড়িতেই সন্তান প্রসব করেছেন বলে জানা গেছে।
|আরো খবর
ওই প্রসূতি নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে লিফট না পেয়ে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচতলা গাইনি ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। এসময় প্রথম তলার সিঁড়িতেই তিনি সন্তান প্রসব করেন।
হাসপাতালের লিফট বিকল থাকায় ওই প্রসূতির স্বজন ও সেবা নিতে আসা মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি জেলা হাসপাতালের আটতলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের কার্যক্রম শুরু হয়। এই আট মাসের মধ্যে দুটি লিফটই অন্তত চারবার নষ্ট হয়েছে। সবশেষ ২৪ আগস্ট থেকে লিফট দুটি বিকল হয়ে আছে। ওই আটতলাবিশিষ্ট হাসপাতালজুড়েই রয়েছে করোনা ইউনিট, জরুরি ভর্তি রোগীর শয্যা, চিকিৎসকের চেম্বার, অপারেশন থিয়েটারসহ প্রয়োজনীয় সেবাদানের বিভিন্ন বিভাগ। এতে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন করোনা আক্রান্ত, প্রসূতি নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। চিকিৎসক নার্সদেরও ভোগাচ্ছে এ দুর্ভোগ।
হাসপাতালে দেখা যায়, দুটি লিফট একসঙ্গে বিকল হওয়ায় রোগী, তাদের স্বজন ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতরা ওঠানামা করতে পারছেন না। লিফট বন্ধ থাকায় অসুস্থ মানুষ সিঁড়ি ব্যবহারে কষ্ট পাচ্ছেন।এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এ. কে. এম. আনোয়ারুর রউফ বলেন, লিফট নষ্ট থাকায় ওই রোগী উপরে উঠতে পারেননি। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
লিফটের বিষয়ে তিনি বলেন, লিফট চালু করতে ইতোমধ্যে জেলার গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরেই গণপূর্তকে বলার পরও তারা কোনো অগ্রগতি করছে না। এজন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
শেরপুর গণপূর্ত এসডি আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার আমাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। লিফটের বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞ লোক না থাকায় ঠিক করা যাচ্ছে না। যাদের কাছ থেকে (ড্যাফোডিল কো.) লিফট নেয়া হয়েছিল, তাদের বলার পরও লোক পাঠাচ্ছে না। আগামীকাল লোক আসতে পারে। এসে ঠিক করবে।
এদিকে ড্যাফোডিল কোম্পানির অংশীদার কামরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের লিফট আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে নূরানী কনস্ট্রাকশন। এর কোনো দায়বদ্ধতা আমাদের নেই। সমস্যা হলে আমাদের জানালে, আমরা যেয়ে ঠিক করে দিই। লোকবলের অভাবে ইঞ্জিনিয়ার পাঠাতে পারিনি। দ্রুতই পাঠানোর চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে শেরপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে লিফট দুইবার নষ্ট হলো। লিফটে পানি ঢুকলে লিফট নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকতে পারে বলে তারা (গণপূর্ত) এক নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেছিলেন। কাল পরশুর মধ্যে ঠিক করা সম্ভব হবে।