প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৩
জমি নিয়ে বিরোধ
ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারে পাঞ্জেগানা মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফরিদগঞ্জে রাতের আঁধারে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মো. হাবিবুর রহমান নামে একজন ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার সাহাপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম পাটওয়ারী বাড়ির। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর ২০২৫) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে।
|আরো খবর
অভিযোগের বাদী হাবিবুর রহমান জানান, সাহাপুর গ্রামের কোম্পানী বাড়ির সামনে ৪০ বছর পূর্বে ওই বাড়ির প্রয়াত নূরুল ইসলাম পাটওয়ারী নিজের বাড়ির ও এলাকার মানুষের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে পাঞ্জেগানা মসজিদ তৈরি করেন। কিন্তু একই বাড়ির সেলিম পাটওয়ারী গং ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে ঝামেলা করে আসছে। কিন্তু নূরুল ইসলাম পাটওয়ারীর ছেলে মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী বারংবার তাদের কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্যে বললেও তারা তা শুনছেন না। গত ২৩ ডিসেম্বর তারা মসজিদটি ভাঙ্গার প্রস্তুতি নেয়ার সংবাদ জেনে আমরা থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ তাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্যে বলে। কিন্তু তা না করে ২৪ ডিসেম্বর রাতে সেলিম পাটওয়ারীরসহ লোকজন মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারা ভয়ভীতি দেখায়। পরে তিনি মাহবুবুর রহমানের সকল সম্পত্তির কেয়ারটেকার হিসেবে তার পক্ষ হয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সেলিম পাটওয়ারী জানান, এই সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষরা আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আমি নিজে জেল খেটেছি। সকল মামলা আমাদের পক্ষে গিয়েছে। ওই সম্পত্তিটি আমাদের। পাশেই আমরা একটি বড়ো মসজিদ করেছি। এই পাঞ্জেগানা মসজিদটি তাই ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর আমরা কাগজপত্র দেখানোর পর ওসি সাহেব আমাদের কাজ করতে বলেছেন। তাই আমরা কাজ করছি।
তবে স্থানীয় লোকজন জানান, কোম্পানী বাড়িতে দীর্ঘদিন সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে ঝামেলা চলমান রয়েছে। ওই পাঞ্জেগানা মসজিদের পাশে আরেকটি বড়ো মসজিদ নির্মিত হয়েছে। সকল পক্ষ একত্রিত হয়ে মসজিদটির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু রাতের আঁধারে এভাবে পাঞ্জেগানা মসজিদ ভাঙ্গা ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ইতঃপূর্বে মসজিদ নিয়ে ঝামেলার বিষয়ে আমার কাছে এসেছিলো, আমি উভয় পক্ষকে একসাথে থেকে দিনের বেলায় কাজ করার জন্যে বলেছি। কিন্তু তারা তা না করে রাতের বেলায় ভেঙ্গেছে বলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।








