শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:১১

একশত গজ সড়কের দুঃখ দুর হবে কবে?

প্রবীর চক্রবর্তী
একশত গজ সড়কের দুঃখ দুর হবে কবে?

সড়কটির লম্বায় সর্বোচ্চ একশত গজ হবে। কিন্তু এই একশত গজের দুরাবস্থার কারণে মানুষের অপুরণীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সড়কটি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের পুর্ববাজারের কেরোয়া সড়কের মুখ থেকে কেরোয়া ব্রীজ পর্যন্ত এই একশত গজের চিত্র। সরু সড়কটির দু:খগাথা নিয়ে বছরের পর ভুগছেই ্ বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমা। দোকানে পানি ঢুকে পড়া। একই সাথে প্রতিদিনের চিত্র যানজট। এই একশত গজ সড়কের কারণে এই দুরাবস্থা। সর্বশেষ কয়েকমাস পুর্বে সড়কের পাশ দিয়ে ৩৪ পৌরসভা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ড্রেন নির্মাণ শুরু করায় আরো দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়। রাস্তার একপাশ খালে পরিনত হয়। নির্মাণকাজ চলাকালে নির্মাণ ক্রটি নিয়ে আপত্তি উঠায় বেশ কয়েকদফা কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আরো দুর্ভোগ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও রাস্তার অবস্থার শোচনীয় হয়। এবড়ো থেবড়ো রাস্তায় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কদমাক্ত রাস্তায় নাজেহাল হতে হচ্ছে চলাচলকারী লোকজনকে। অথচ এই সড়কটি চান্দ্রা বাজার ও কামতা বাজারসহ পুর্বাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।

সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া করা স্কুল শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, স্কুলগামী শিক্ষার্থী তেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষকে এই অল্প একটু রাস্তার জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ফরিদগঞ্জ পুর্ব বাজারে জানজটের কারণ এই সরু রাস্তা। মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবে যুক্ত হয়েছে সড়কের এবড়ো থেবড়ো অবস্থা। পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন নির্মাণ কালে সড়কের উত্তর পাশের অংশ দোকানগুলোকে তিনফুট ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। এতে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকজন তাদের ভবনের একাংশ ভেঙ্গে দেয়। এখন প্রয়োজন সড়কের দক্ষিণ অংশের তিনফুট করে ভাঙ্গা। তাতে সড়কটি চওড়া হবে। একই সাথে দ্রুত গতিতে সড়কের কাজ সম্পন্ন করা ।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ বাজারের থানার মোড় থেকে উত্তর গলি হয়ে কেরোয়া বীজ পর্যন্ত সড়কটি আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়েছে। ঠিকাদার আলমগীর মোল্লা কার্যাদেশ পেলেও ড্রেন নির্মাণের জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছেন।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার আলমগীর মোল্লা জানান, আমি কার্যাদেশ পেলেও ড্রেন র্নিমাণ কাজ শেষের জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ রাস্তা নির্মাণ করলে ড্রেনের জন্য তা আবার নষ্ট হবে। এখনো দুটি ক্রস ড্রেন নির্মাণ বাকি রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন হলে আমি দ্রুত কাজ শেষ করে ফেলবো।

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সচিব এ কে এম খোরশেদ আলম জানান, সড়কটি দুর্দশা কথা জ্ঞাত রয়েছি। আশা করছি দ্রুত ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়