প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬
মেয়াদোত্তীর্ণ তোরণ ও বিলবোর্ডে শহরের সৌন্দর্যহানি

চাঁদপুর শহরের বেশ ক'টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে স্থাপিত ক'টি তোরণ ও বিলবোর্ড মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে অনেকদিন যাবত। যেসব সংগঠন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সড়কের ওপর জুড়ে এসব তোরণ ও বিলবোর্ড নির্মাণ করেছে বা স্থাপন করেছে, এগুলোর মেয়াদ চলে যাওয়ার পরও, এমনকি বিলবোর্ডের পিভিসি ও তোরণের ব্যানার কিংবা কাপড় ছিঁড়ে নষ্ট হওয়ার পরও এগুলো অপসারণের উদ্যোগ তারা নিচ্ছেন না।
|আরো খবর
দেখা গেছে যে, তোরণ ও বিলবোর্ডগুলোর কাপড়, ব্যানার ও পিভিসি ছিঁড়ে ঝুলে আছে। এতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। তোরণগুলো রাজনৈতিক নেতাদের ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আগমনকে কেন্দ্র করে, আর বিলবোর্ডগুলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণায় তৈরি করা হয়েছে। এমন একটি বিলবোর্ড ও তোরণের পাশেই অবস্থিত চাঁদপুর শহরের অন্যতম সৌন্দর্যের প্রতীক ইলিশ মাছের ভাস্কর্য সম্বলিত ‘ইলিশ চত্বর’। পর্যটকদের আকর্ষণের একটি স্পট এটি। কিন্তু এখন এটি যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। চত্বরের চারপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও আলোকসজ্জার অভাব লক্ষ্য করা যায়। তার সাথে রয়েছে এলোমেলো অবস্থায় মেয়াদোত্তীর্ণ তোরণ ও বিলবোর্ড।
শহরবাসীর দাবি, দ্রুত এসব তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হোক এবং ইলিশ চত্বর সহ অন্যান্য ভাস্কর্য সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিক করা হোক ও শৈল্পিক রূপ দেয়া হোক। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, চাঁদপুর শহরের পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় এসব দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার প্রতি দৃষ্টি দেয়া এখন সময়ের দাবি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে শহরের নান্দনিকতা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। চাঁদপুর পৌরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, ভাস্কর্যগুলোর সময়মতো সংস্কার এবং মেয়াদোত্তীর্ণ তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ/পরিষ্কার হলে শহরের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব, যা পর্যটন ও জনসাধারণের মনোজগতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।