প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩৯
কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. হেলাল গ্রেপ্তার
কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. হেলাল উদ্দীন (৪৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি ২০২৫) অ্যাড. হেলাল উদ্দীনকে ২০২২ সালে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলনের ইফতার মাহফিলে ভাংচুর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় কচুয়া থানায় দায়ের হওয়া মামলায় কচুয়া আমলী আদালতে জামিন চাইতে গেলে আটক করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় কুমার দাস জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই অ্যাড. সোহাগ উদ্দীন।
তিনি আরো জানান, ওই মামলায় অ্যাড. হেলাল উদ্দীন উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার ছিলো তার শুনানির দিন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলনের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে ভাংচুর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় গত ২৬ আগস্ট ২০২৪ রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সাবেক এমপি ড. সেলিম মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. হেলাল উদ্দীন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও সাবেক মেয়র নাজমুল আলম স্বপনসহ ৮৯জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৫ শ' জনকে বিবাদী করা হয়। মামলা নং ৬/১২৭।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকেল সাড়ে ৫টার সময় উক্ত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বদরপুর এলাকায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলন ও তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী পৌঁছলে আওয়ামী লীগের ৪০/৫০ জন যুবক তাদের গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাংচুর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং আসামীগণ অস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার ও শর্টগান দিয়ে আক্রমণ করে ২৭জনকে জখম করে। আহতরা গৌরিপুর, মতলব ও হাজীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। ঘটনার পর কচুয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়ের করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। উক্ত মামলার সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ১৬জন। তন্মধ্যে রয়েছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলন ও তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী, আতাউল করিম, ওলিউল্যাহ, শিব্বির আহমেদ, কবির হোসেন, ওবায়েদ মুন্সি, জাকির হোসেন প্রমুখ।