শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৭

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়ার অভিযোগ

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়ার অভিযোগ
মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের গাছ জোরপূর্বক কাটার দৃশ্য।

মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের অধীনস্থ ছেংগারচর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কলাকান্দা গ্রামের উভয় পাশ থেকে বেআইনীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ জোরপূর্বক কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৭ নভেম্বর বুধবার বিকেলে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগটি করা হয়। অভিযোগটি করেন উত্তর কলাকান্দার মৃত আঃ রহমান ভূঁইয়া ও মৃত লজ্জাতুননেছার ছেলে আয়ূর্বেদ চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া।

অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, মতলব উত্তর থানার অন্তর্গত ৬৪নং চরপালালোকদি মৌজার বিএস ১৩১নং খতিয়ানে আমার পিতার নামীয় ৩৪৪ দাগে ভিটা মোঃ ৫ একর ভূমির মালিক। ওই সম্পত্তির লাগোয়া মেঘনা ধনাগোদা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪ শতাংশ সম্পত্তি আমি দীর্ঘ ২৫ বৎসর যাবৎ রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি। ওই সম্পত্তিতে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন প্রকারের গাছ-গাছালি যেমন মেহগনি, রেইন্ট্রি কড়ই ও সেগুন গাছ রোপণ করেছি। ওই গাছগুলোর বয়স দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর হবে। গাছগুলো এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক জোরপূর্বক বেআইনীভাবে কেটে নিয়ে যায়। যার মূল্য কমপক্ষে হলেও ৭৫ হাজার টাকা হবে। আমার ও আমার লোকজনের বাধার পরে ৭/৮টি গাছ কেটে মাটিতে ফেলে রাখে। যার মূল্য আরও ১ লাখ টাকা। এখন সেগুলো ছাড়াও সেচ প্রকল্পের অধীনস্থ জায়গার মাটি কেটে অন্যত্র নেয়ার জন্যে পাঁয়তারা করছে। এ অবস্থায় ওই সন্ত্রাসী লোকজনের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রার্থনা করছি। অভিযুক্ত সন্ত্রাসী কারা এ প্রসঙ্গে দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় বেনজীর (৫২), নূর মোহাম্মাদ (নুরা) (৬৫), আবু বক্কর মিজি (৬৫), উজ্জল ভূঁইয়া (৪৫), মোঃ জামান ভূঁইয়া (৩২), মোঃ হারুন ভূঁইয়া (৫৪), মোঃ সজীব (৩৮)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এ কাজে জড়িত। এরা গত ২৪ নভেম্বর রোববার সকাল ৭টা হতে ১১টা পর্যন্ত সময়ে উক্ত সম্পত্তিতে অর্থাৎ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকীয় সম্পত্তিতে এই বেআইনী কাজ করে। তাই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি।

এদিকে গাছ কাটার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন মোঃ বেনজীর। তিনি বলেন, ওখানে একটি কবরস্থান রয়েছে। সেটি পরিষ্কার করতে গিয়ে কিছু গাছ কেটেছি। তবে এখানে যেই সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সমাধানে স্থানীয় গণমান্যরা থানা পুলিশকে জানিয়েছে। আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আমাদের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ছবি ক্যাপশনঃ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়