শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৩

বিয়ের দাওয়াত দিতে এসে স্বজনদের পেটালেন বর

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
বিয়ের দাওয়াত দিতে এসে স্বজনদের পেটালেন বর
প্রতিকী ছবি

বিয়ের দাওয়াত দিতে আসেন নিজের স্বজনদের। কিন্তু দাওয়াত নিতে রাজি না হওয়ায় উল্টো তাদের বেধড়ক পেটালেন বর ও তার বাবা। হামলায় আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এমন ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামে।

জানা গেছে, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের জহরলাল রবি দাস পেশার কাজে পার্শ্ববর্তী রূপসা বাজারে থাকেন। চলতি অগ্রহায়ণ মাসে তার ছেলে আকাশের বিয়ের দিন ধার্য করেন। বিয়ের দাওয়াত দিতে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে তার নিজ বাড়িতে আসেন। বাড়ির চাচাতো ভাই বাবুল রবিদাসের ঘরে গিয়ে বিয়ের দাওয়াত দেন। কিন্তু পূর্ব ঘটনার জেরে ক্ষোভের কারণে বাবুল রবিদাস ও তার পরিবারের সদস্যরা বিয়ের দাওয়াত গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জহরলাল রবি দাস ও তার ছেলে আকাশ উভয়ই বাবুল রবিদাসের পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেন। মারধরে আহত বাবুল রবি দাসের স্ত্রী উষা রাণী ও তার ছোট ভাই কিরণ রবি দাস গুরুতর আহত হন।

আহত রবি দাস জানান, গত কয়েক মাস পূর্বে আমার ছেলে সঞ্জিব রবিদাস ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। তার চিকিৎসার জন্যে জহর লাল থেকে ৯৫ হাজার টাকা ধার নেই। কিন্তু টাকা নেয়ার ১৪/১৫ দিনের মাথায় আমার ছেলে মৃত্যুবরণ করে। পরে ধারের টাকা শোধ করতে গেলে ১৮ দিনের জন্যে আমার কাছ থেকে বাড়তি ৩০ হাজার টাকা আদায় করে জহরলাল। এ সময় আমি তার দ্বারা শারীরিক ও মানসিক লাঞ্ছনার শিকার হই। ফলে শুক্রবার জহর লাল ও তার ছেলে আকাশ বিয়ের দাওয়াত দিতে আসলে আমরা তার দাওয়াতে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তারা উভয়ই আমাদের বেদম মারধর করে।

এ ব্যাপারে বরের বাবা জহরলাল জানান, তার ছেলে আকাশের বিয়ে উপলক্ষে ধর্মীয় আচার ও দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন। সব কিছু সুন্দরভাবে হলেও চাচাতো ভাই কিরনের খারাপ আচরণকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন লিটন জানান, তাদের বিষয়টি সমঝোতার লক্ষ্যে একটি সালিসি বৈঠকের আয়োজন করেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়