প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ১৩:০৮
চাঁদপুরে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
|আরো খবর
শুক্রবার ২ আগস্ট সকাল ১০টায় চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসের এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত বুধবার দুপুর থেকেই চাঁদপুরে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। এরপর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত ছিলো । বৃহস্পতিবার ১ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার ২ আগস্ট সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৭ মিলিমিটার।
এদিকে টানা দুই দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর শহরের বেশ কটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার সড়কগুলোর অবস্থা বেহাল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
শহরের নাজির পাড়া, মাদ্রাসা রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতে সড়কে পানি জমে আছে। বৃষ্টি কমলে পানি কিছুটা হ্রাস পায়। আবার বৃষ্টি হলে একই অবস্থা।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দোকানগুলো খুলেছে। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা থেকে বের হয়নি। বৃষ্টির কারণে দিনমজুর ও শ্রমিকদেরও কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
শহরের পুরাণ বাজারের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবারে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেক দোকান দেরিতে খুলেছে। যারা নির্মাণ শ্রমিক তারাও কাজে যেতে পারেনি।
শহরের মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের সড়কে পানি। এখন পর্যন্ত একই অবস্থা। একটু পানি কমলেও বৃষ্টিতে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও বাসা বাড়িতেও পানি উঠেগেছে। পানি গড়িয়ে নামলেও কমছে না। বর্ষা মৌসুমের কারণে আবার নদীতেও এখন পানি ভরপুর।
শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকাল বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ বাবু বলেন, টানা বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার সড়ক ডুবে যায়। তবে সকালে কিছুটা পানি কমেছে।
সদর উপজেলার রামপুর এলাকার বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় সড়কে পানি উঠেনি। কারণ ডাকাতিয়া নদী পাশে থাকায় পানি নেমে যায়। তবে বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সন্ধ্যার পরে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও মধ্যরাত থেকে আবার বেড়েছে। বিশেষ করে আজ শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত আছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত ট্র্যাফিক পরির্দশক (টিআই) মো. শাহ্ আলম জানান, টানা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে চাঁদপুর-ঢাকা নৌপথের সব ধরণের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।