প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪, ২২:৪৪
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
কালের বিবর্তনে সাহিত্য একাডেমি এই স্লোগানে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শনিবার ১৩ জুলাই দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। বিকালে সাহিত্য একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, কেক কাটা ও স্মারক বৃক্ষরোপনের মধ্য দিয়ে সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
|আরো খবর
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)ও সাহিত্য একাডেমির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস।
এ সময় তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, সাহিত্য চর্চা ও সাহিত্য আড্ডা একটা শিল্প।এর মধ্যে মানুষের শ্রম, মেধা চর্চা হৃদ্র হয়েছে। আমাদের অনেক তরুণ সাহিত্যিকের কারণে চাঁদপুর সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমি মনে করি সাহিত্য ও সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চাই পারে মানুষকে মানুষের মতো করে গড়ে তুলতে।
মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক মহাপরিচালক রোটাঃ কাজী শাহাদাত।
সাহিত্য একাডেমির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সামীম আহমেদ খানের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাহিত্য একাডেমির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য লেখক কবি ও ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া,
সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর নজরুল গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি, সাংবাদিক কবি লেখক প্রবন্ধকার ফরিদ হাসান, কাদের পলাশ, মাইনুল ইসলাম মানিক, উপস্থাপক ও সংগঠক এমন আর ইসলাম বাবু, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হ্নদয়, লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা ও ছড়া পাঠ করেন কবি ও লেখক মুহাম্মদ হানিফ, আশরাফুজ্জান, কাজী রাসেল, খোকন চন্দ্র মজুমদার, সুমন কুমার দত্ত ও বঙ্গবন্ধু আবৃতি পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুক্তা পীযূষ।
এ সময় চাঁদপুরের সাহিত্য সংস্কৃতিক ও সাংবাদিক অঙ্গনের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বক্তব্যে সাহিত্য প্রেমীরা বলেন,
সাহিত্য এমন এক সুগন্ধি যা মানুষকে সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। সাহিত্য হচ্ছে মনকে সজীব, সতেজ, সচল ও গ্রহনশীল রাখার এক শ্রেষ্ঠ উপায়। সাহিত্য হচ্ছে দেশ ও জাতির জীবন মানসের প্রতিফলন। সাহিত্য হচ্ছে সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখ পূর্ণ জীবনের দলিল বিশেষ। জাতির মনের কথার লিখিত রূপই হচ্ছে সাহিত্য। যে কোন সভ্যতার উৎকৃষ্ট ব্যারোমিটার হলো তার কবি, সাহিত্যিক, লেখকরা। সাহিত্য সেবকরা পরস্পরের পরমাত্মীয়। হিন্দু হোক, মুসলমান হোক, বৌদ্ধ হোক, খ্রিষ্টান হোক তারা কেউ পর নয়, সাহিত্যসেবীরা একে অপরের আপন জন।
সুতরাং সাহিত্য একাডেমি চাঁদপুরকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবাই একসাথে কাজ করবে।