রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ১৯:৫৮

চাঁদপুর মেঘনা উপকূলে একের পর এক দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপার

চাঁদপুর  মেঘনা উপকূলে একের পর এক দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপার
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় একের পর এক দেখা মিলছে রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নামক সাপ। সর্বশেষ দেখা মিলে শহরের পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকার মেঘনা নদীর পাড়।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে হরিসভা নদীর পাড়ে শহর সংরক্ষণ বাঁধে কাজ করা শ্রমিকরা বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলতে গিয়ে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ দেখতে পেয়ে মেরে ফেলে সেটি। স্থানীয়দের ধারণা, সাপটি নদীতে এসে ওই এলাকার ভাংগন স্থানে ফেলা বালু বস্তার স্তূপে আশ্রয় নেয়।শ্রমিকরা বস্তা সরাতে গেলে সেটি বের হয়ে রাস্তার ওপর ওঠে আসে।

তবে এখন পর্যন্ত মেঘনা উপকূল ছাড়া জেলার সমতল এলাকায় এই সাপের দেখা মিলেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজার মন্দিরের পুরোহিত অনিক বলেন, শ্রমিকরা রাসেলস ভাইপার সাপ দেখলে ডাক চিৎকার দেয়। এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন বয়সী লোকজন ছুটে আসে। এরপর সাপটিকে কারেন্টজাল দিয়ে মুড়িয়ে এবং পিটিয়ে মেরে ফেলে কিশোর ও যুবকরা। পরে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।

গত কয়েক বছর মেঘনা উপকূলীয় এলাকা চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোড, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এই রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নামক সাপের দেখা মিলে। এসব সাপের মধ্যে শহরের কোড়ালিয়া রোডে ধরা পড়া রাসেলস ভাইপার সাপটি বন বিভাগ নিয়ে যায়। বাকি অন্য স্থানে ধরা পড়া সাপগুলো স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরে পেলে।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাখাওয়াত হোসেন বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের কামড় প্রসঙ্গে জনসচেতনতার জন্য বলেন, যেকোনো বিষধর সাপে কামড়ালে কোনো ওঝার কাছে না নিয়ে, সময় নষ্ট না করে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। কামড়ের সাথে সাথে যতটা দ্রুত হাসপাতালে আনা যায়, ততটাই ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, সাপে কামড়ে সাথে সাথে কামড়ের উপরের স্থানে কোনো রশি দিয়ে বাঁধা যাবেনা। সেখানে গামছা বা ওড়নাসহ সুতি জাতীয় কাপড় দিয়ে হালকা করে বাঁধতে হবে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ এ কে এম মাহাবুবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, যে কোনো বিষাক্ত সাপে কামড়ালে বিষ প্রতিষেধকের একই এ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন দেয়া হয়। আমাদের হাসপাতালে ১৩০টি এ্যান্টিভেনম মজুদ রয়েছে। এর পাশাপাশি আরো ২০০ চাহিদার কথা সাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই সে চাহিদার ভ্যাকসিন আনতে হাসপাতাল থেকে লোক পাঠানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়