শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৫৬

মুক্তিযোদ্ধা বাবার বুকে মাথা রাখতে পেরেছি এযে কত গর্বের তা কেবল অনুমেয় : জিল্লুর রহমান জুয়েল

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি
মুক্তিযোদ্ধা বাবার বুকে মাথা রাখতে পেরেছি এযে কত গর্বের তা কেবল অনুমেয় : জিল্লুর রহমান জুয়েল

১৯৭১ এ বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে উদিত হয়েছিল বিজয়- রবি। রক্তনদীর উজান বেয়ে যে বিজয় আমরা পেয়েছি, সে বিজয় দিবস আমাদের জাতির সামনে খুলে দিয়েছে অমিত সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার। চরম শোক ও পরম গৌরবে মুক্তিযুদ্ধের পর সেই ডিসেম্বরে আমরা এটাই প্রমাণ করেছিলাম যে জাতি হিসেবে আমরা মোটেই ছোট কিংবা দুর্বল নই। এই খোলা আকাশের নিচে মাটির উপরে আমাদের মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকার মত স্বাধীনতা দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধারা। আর সেই গর্বিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে ভাবনার চাইতেও দেশ ও দেশের মানুষকে জড়িয়ে ভাবনার শেষ নেই এই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের। এমনি একজন

হাইমচর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান এর সন্তান বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ হাইমচর উপজেলা কমান্ড আহ্বায়ক জিল্লুর রমান জুয়েল। অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মত তার ভাবনারও কোন কমতি নেই। তিনি জানান, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন । তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর অফিস ৫১ পুরানা পল্টন, ঢাকায় কর্মরত ছিলেন । তিনি মিরপুর সেক্টরে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক জনসভার প্রচারক ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্দেশে হাইমচর উপজেলায় মুজিব বাহিনী গঠন করেন।মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি ফরিদগঞ্জের খেজুরিয়ায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন।

এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলেন, স্বাধীনতাহীন জীবন কোন জীবন নয়। আমরা একটা স্বাধীন রাষ্টে জন্ম গ্রহন করেছি। সেই স্বাধীন সুন্দর রাষ্টটি আমাদের বাংলাদেশ। বীর মুক্তিযোদ্ধাগন দেশের সুর্য সন্তান তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসারথি হয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন বলেই আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান । আমি সেই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে অন্যতম ,কেননা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আর কখনোই মুক্তিযুদ্ধ দেখতে পাবেনা।ছুঁয়ে দেখতে পারবেনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নসারথিদের একজনকেও। যিনি দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রানের মায়া ত্যাগ করে ,সন্তানের মায়া ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন আমি তাকে দেখতে পেরেছি,ছুঁতে পেরেছি,তার বুকে মাথা রাখতে পেরেছি। এযে কত বড় সৌভাগ্যের,কত বড় গর্বের তা কেবল অনুমেয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নছিল সোনার বাংলা গড়ে তোলা । তার নেতৃত্বে হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার চেতনা ছিল।আজকের প্রজন্মকে সেই চেতনায় দেশ গড়তে হবে।দুর্নীতি মুক্ত দেশ গঠন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দুর্নীতির এ বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্ত করতে হবে।জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস,বীরদের রক্তের কথা,স্বপ্নের কথা। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনা তরুন সমাজের কাছে পৌছাতে হবে।পাঠ্য পুস্তকে লিপিবদ্ধ ইতিহাসের বাহিরে সপ্তাহে একদিন করে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রতিটি শ্রেনীতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে তবেই আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।এদের হাত ধরে এদেশ একদিন দুর্নীতিমুক্ত,হিংসামুক্ত,বৈষম্যহীন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়