প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৫১
ফরিদগঞ্জে সুপারি বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি সুপারি বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদু:খিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের লড়াইচর গ্রামে ঘটে। এই নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজন থানায় নিয়ে আসে। এব্যাপারে থানায় ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
|আরো খবর
জানা গেছে, চরদু:খিয়া ইউনিয়নের বিরামপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান লড়াইচর গ্রামের মৃত আনা মিয়া বেপারীর ছেলে লেদু মিয়া থেকে সুপারি বাগানসহ কিছু জমি ক্রয় করে। সম্প্রতি ক্রয়কৃত জমি রক্ষনাবেক্ষণ করতে গেলে ক্রয়কৃত জমি নিজেদের দাবী করে মৃত আনা মিয়া বেপারীর অন্য ছেলে ছফি উল্যা (সাবু) বেপারী ও তার ছেলে মেয়েরা বাধা প্রদান করে। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে থানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ হয়। সর্বশেষ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ছফি উল্যা (সাবু) বেপারী ও তার ছেলে আলমগীর বেপারী সকালে মিজানুর রহমানের ক্রয়কৃত সুপারি বাগানের বিপুল সংখ্যক সুপারি গাছ গোপনে বিক্রি করে কাটা শুরু করে। এনিয়ে মিজানুর রহমান ও তার লোকজন বাঁধা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
মিজানুর রহমান জানান, আমি ক্রয় সূত্রে মালিক হওয়ার পর। আমার নামে খারিজও হয়েছে। তারা নিজেদের জমি আছে দাবী করলেও কোন কাগজপত্র দেখাচ্ছে না। উল্টো নানাভাবে হয়রানি করে। তারা আমার সুপারি বাগান থেকে বিপুল পরিমাণ সুপারি গাছ গোপনে বিক্রি করে সর্বশেষ শুক্রবার সকালে তা কেটে ফেলার চেষ্টা করে। আমি বাঁধা দিতে দিতে প্রায় অর্ধশত সুপারি গাছ কেটে ফেলে। বাধ্য হয়ে আমি ৯৯৯ এর মাধ্যমে থানার আশ্রয় নেই। তাছাড়া আমি ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত অংশ তথা বসত বাড়ির অংশ বুঝে নিতে চাইলেও তারা টালবাহানা করছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আলমগীর বেপারী জানান, তারা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। কিন্তু মিজানুর রহমান জমি কেনার কথা বলে নানাভাবে দখল করতে চেষ্টা করছে। এই সময় তিনি সুপারি বাগান থেকে গাছ কাটার কথা স্বীকার করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই শরিফুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ ফোন কলের ভিত্তিতে চরদু:খিয়া ইউনিয়নের লড়াইচর গ্রামে গিয়ে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এসময় বেশকিছু সুপারি গাছ কেটে রাখা অবস্থায় দেখতে পাই। আমি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমগীরসহ ৩জনকে থানায় নিয়ে এসেছি।