প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:১৬
জাতীয় সরকারের অধীন নির্বাচন দাবিতে চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল
দেশের বিদ্যমান সংকট নিরসনে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল (২৭ অক্টোবর) শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন শপথ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ জয়নাল আবদিন।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার বিরোধী দলগুলোর কথা না শুনে যে অরাজ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে তাতে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পীর সাহেব চরমোনাই যে ফর্মুলা দিয়েছেন তা সর্ব স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য। তিনি সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, যদি আপনারা দেশের শান্তি ও উন্নয়ন চান তাহলে জাতীয় সরকার মেনে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। অন্যথায় দেশের মানুষ যেভাবে ফুসে উঠছে এতে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। আজকে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বে সারাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে। পীর সাহেব চরমোনাই আগামী ৩ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন, এই সমাবেশ থেকে আরো বৃহৎ লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। দেশের মানুষ চায় তিন নভেম্বরের পূর্বেই শান্তিপূর্ণভাবে আপনারা ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন। যদি দেশের মানুষের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।
জেলা ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও দাওয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা হেলাল আহমাদ ও পৌর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি আবু নাঈম তানভীরের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সহ-সভাপতি গাজী মোঃ হানিফ, সেক্রেটারী কেএম ইয়াসিন রাশেদসানী, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা বেলাল হোছাইন রাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জামাল গাজী সোহাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি ডাক্তার বেলাল হোসাইন, পৌর ইসলামী আন্দোলনের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, জেলা যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক মাওলানা ইমরান হুসাইন, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বাইতুল আমীন শপথ চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।