শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ২২:৩৫

বিএনপির আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন হতো তা বন্ধ করেছে শেখ হাসিনা সরকার : ড. সেলিম মাহমুদ

বিএনপির আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন হতো তা বন্ধ করেছে শেখ হাসিনা সরকার : ড. সেলিম মাহমুদ
মেহেদী হাসান:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আন্দোলন সংগ্রাম করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। যে কয়েকটি মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি। যে রাষ্ট্রে ধর্মীয় বিবেচনায়, পেশার বিবেচনায়, শ্রেণির বিবেচনায়, বংশ কিংবা বস্তুর বিবেচনায় মানুষ মানুষে কোন বিভেদ থাকবে না, কোন বৈষম্য থাকবে না। এরকম একটি রাষ্ট্র হচ্ছে বাঙ্গালির রাষ্ট্র। সারা দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাঙ্গালি একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পেয়েছে। যে রাষ্ট্রের নাম বাংলাদেশ। এ রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে পহেলা অক্টোবরের যে নির্বাচন সে নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত জয়লাভের পর কচুয়াসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ব্যাপক হামলা, মামলা ও নির্যাতন করে। অমানবিক অত্যাচার করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাংচুর করে বাড়িঘরের মধ্যে আগুন লাগানোর মতো তান্ডব চালায় স্বাধীনতা বিরোধী সেই দলের নেতাকর্মীরা। তার কারন হিন্দু সম্প্রদায় হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রকৃত বন্ধু। যেকোনো সংকটে যেকোনো সমস্যায় আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে ছিলো। আবার হিন্দু জনগোষ্ঠীও আওয়ামী লীগের পাশে ছিলো। ১৯৯৬ সালে যখন এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ভোট দিতে পেরেছিল তখন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে। কিন্তু ২০০১ সালে যখন বিএনপি জামায়াত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের ঘরে থাকতে দেয়নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার নিপিড়ন করে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জেলে বন্দী করে জোর করে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসে। আবার ২০০৮ সালে যখন এদেশের জনগন ভোট দিতে পেরেছে তখন আওয়ামী লীগ তিন চতুর্থাংশ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে। এবং বিএনপির আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে অত্যাচার-নির্যাতন হতো তা বন্ধ করেছে শেখ হাসিনা সরকার। তাছাড়া হিন্দুদের অর্পিত সম্পত্তির যে কালো আইন ছিলো তা বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই আপনারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগের পাশে থেকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি গতকাল সোমবার রাতে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চাঙ্গিনী দূর্গাবাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

এসময়চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ,উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সাহা, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তুষ পোদ্দার,সাধারণ সম্পাদক জিসান আহমেদ নান্নু, ইউপি চেয়ারম্যান আখতার হোসাইন, হাবিব মজুমদার জয়, মনির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান হাতেম, এনামুল হক শামীম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন সরকারসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সনাতনধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

একইদিনে তিনি উপজেলার চাঙ্গীনি দূর্গা বাড়ি সার্বজনীন মন্দির , দোয়াটি নিশি হাওলাদার বাড়ি দূর্গা মন্দির, তিলকিয়াভিটি দূর্গা মন্দির, জলা তেতৈয়া দূর্গা মন্দির, পালাখাল সাহা বাড়ি দূর্গা মন্দির, আলিয়ারা ব্যাজ বাড়ী দূর্গা মন্দির, উত্তর শিবপুর দূর্গা বাড়ি মন্দির, মাঝিগাছা দূর্গা মন্দির, বিতারা পাল বাড়ি দূর্গা মন্দির, সাচার জগন্নাথ ধাম দূর্গা মন্দির, ঘোষ বাড়ি দূর্গা মন্দির, মধ্য পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির, দাসপাড়া দূর্গা বাড়ি মন্দির, বায়েক সরকার বাড়ী দূর্গা মন্দির, বায়েক কালি বাড়ি বাড়ি দূর্গা মন্দির ও শুয়ারুল কালি বাড়ি দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন। এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্দিরে উপহার হিসেবে নগদ দশ হাজার টাকা করে প্রদান করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়