প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ২১:১৪
মতলব উত্তরে চাঁদপুর কন্ঠ পাঞ্জেরির জমজমাট বিতর্ক আয়োজন সম্পন্ন
দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ পাঞ্জেরি বিতর্ক প্রতিযোগিতার মতলব উত্তর উপজেলার প্রান্তিক পর্ব সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ২০ অক্টোবর সকাল সাড়ে আটটার ছেংগারচর পৌর সভার মায়া বীর বিক্রম অডিটোরিয়ামে বিতর্ক আয়োজন শুরু করা হয়। বির্তক চলে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। এবারের প্রতিযোগিতায় উপজেলার ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি কলেজ অংশ গ্রহণ করে। বিতার্কিক,শিক্ষার্থী,শিক্ষক,অভিভাবক ও অতিথিবৃন্দ প্রাণ ভরে বিতর্ক প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষ হলে আলোচনা সভা,প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ,পুরুস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছেংগারচর পৌর সভার মেয়র লায়ন মোঃ আরিফ উল্ল্যাহ সরকার।
|আরো খবর
চাঁদপুর কন্ঠ বির্তক ফাউন্ডেশন(সিকেডিএফ) মতলব উত্তর শাখার সভাপতি এমএ হাকিম খানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল রোবেলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী সাহাদাত, ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহম্মদ, মতলব উত্তর দূনীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শামসুজ্জামান ডলার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশনের মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলু।
এ সময় সাংবাদিক পৌর সভার কাউন্সিলর,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্তীরা উপস্থিত ছিলেন।
বির্তক প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সিকেডিএফ চাঁদপুর সদর উপজেলার সভাপতি মাসুদুর রহমান,সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ ও সিকেডিএফ চাঁদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম। মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন সিকেডিএফ চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আজিজুল হাকিম নাহিন।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রান্তিক পর্বে মতলব উত্তর উপজেলায় ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি কলেজ অংশ গ্রহণ করে। হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই শেষে প্রতিযোগিতায় ১নং ছেংগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাউরী আহম্মদীয় উচ্চ বিদ্যালয়, লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজ(স্কুল শাখা),একলাশপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রী করেজ বিজয় লাভ করে।
ছেংগারচর পৌর সভার মেয়র লায়ন মোঃ আরিফ উল্ল্যাহ সরকার বলেন, বিতর্ক মানুষকে সৃজনশীল হতে সাহায্য করে। বির্তকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যেমন যোগাযোগ দক্ষতা বাড়বে, তেমনি তাদের মধ্যে গবেষণা চর্চাও বাড়বে।এই ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনে সহায়ক হবে।বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ভূয়সী প্রশাংসা করেন তিনি।
তিনি আরোও বলেন,শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও যুক্তিবাদী মানস গঠনের পাশাপাশি সমাজের সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য বিতর্কচর্চার ওপর জোর দিতে হবে। বর্তমানে সমাজে যে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তার থেকে বেরিয়ে আসার একটা উপায় হতে পারে বিতর্কচর্চা। তাই এই প্রক্রিয়াকে বেগবান করতে পাঠ্যক্রমে বিতর্কচর্চার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। বাংলাদেশে বিতর্কচর্চার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা, প্রান্তিক পর্যায়ে বিতর্ক ক্লাব ও সংগঠনগুলোর অবস্থা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাগুলোর মানোন্নয়ন ও অনুশীলনকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে খেলাধুলা কিংবা সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য যদি বিশেষায়িত শিক্ষক থাকতে পারেন, তাহলে বিতর্কের জন্য একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকতে হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিতার্কিকদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতাগুলোতে তৃণমূল পর্যায়ের বিতার্কিকদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। মেধা দেশজুড়ে আছে। এখন কেবল সুযোগ তৈরি করে দেওয়া দরকার।