বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:২৯

কচুয়ার লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম

কচুয়ার লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম
বিশেষ প্রতিনিধি

কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ পায় লক্ষ্মীপুরের মেসার্স এস আর কন্সট্রাকশন। সম্প্রতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেখানে কলাম নির্মাণে নানা রকম অনিয়ম করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরজমিনে দেখা যায়, ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে কংক্রিট মিক্সারে ১ বস্তা সিমেন্টের সাথে ২টুকরি সিলেকশন, ১ টুকরি সাদা বালু ও ৫ টুকরি খোয়া ব্যবহার করে ছাদ ঢালাই করা হচ্ছে। কিন্তু দরপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ১ বস্তা সিমেন্টের সাথে ১.৫ টুকরি সিলেকশন ও ৩ টি খোয়া ব্যবহার করতে হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, লতিফিয়া মহিলা মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ে সাদা বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। যা সিডিউলে উল্লেখ নেই। প্রতি বস্তা সিমেন্টের সাথে ২-৩ টুকরি সিলেকশন, ১টুকরি সাদা বালু ও ৫ টুকরি খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া নিম্নমানের সিমেন্ট ও খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঠিকাদারের সাথে মাদ্রাসার সুপার মোশারফ হোসেনের যোগসাজশে এসব অনিয়ম দুর্নীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আমরা দরপত্র অনুযায়ী কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।এভাবে কাজ করলে ভবনটি বেশিদিন টিকবে নাহ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লতিফিয়া এনামিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, সকালে যখন কাজ শুরু হয় তখন কাজে একটু অনিয়ম হয়েছে। পরর্বতীতে স্থানীয়তা এসে বাধা দিলে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেছে ঠিকাদার।

চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের দায়িত্ব থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনিক কুমার ঘোষ বলেন, নির্মাণ কাজে সাদা বালু ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে স্থানীয়দের মাঝে এই নিয়ে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। দরপত্র অনুযায়ী নির্মাণ কাজ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়