প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৪০
ভাইস চেয়ারম্যানের ছোড়া কেটলিতে ঝলসে গেলো দোকানদারের শরীর
সিগারেটের দাম বেশি রাখায়, দোকানদারকে চায়ের গরম কেটলি ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে।
|আরো খবর
জানা যায়, কচুয়া বাজারের বিশ্বরোডের চায়ের দোকানদার মুকবুল খানের (৬০) সাথে সিগারেটের দাম নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চায়ের গরম কেটলি ছুড়ে মারেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম। ঝলসানো শরীর নিয়ে নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতেও বাধাঁ দেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। পরে পার্শবর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দিবাগত রাত। ভুক্তভোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে শনিবার হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্বজনরা। মুকবুল খান কচুয়া পৌর এলাকার কোয়া গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে।
শনিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মুকবুল খানের পিঠ,হাত ও পা ঝলসে আছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সুস্থ হতে সময় লাগবে।
দোকানদার মুকবুল বলেন, শুক্রবার রাতে ভাইস চেয়ারম্যান আমার দোকান থেকে অন্য লোক দিয়ে বেনসন সিগারেট নেয়। কিছুক্ষণ পর সিগারেটের দাম বেশি নিয়েছি বলে ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ৮-১০ জন লোক নিয়ে এসে আমার উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে গরত চায়ের কেটলি আমার শরীরে মারে। আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে। পুড়া শরীর নিয়ে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দেয় আমি যেনো হাসপাতালে ভর্তি না হই। যন্ত্রনায় আর টিকতে না পেরে আমাকে হাজীগঞ্জ নিয়ে আসে আমার পরিবার।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম জানান, মুকবুল রাজনৈতিক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে, এক পর্যায়ে কিছু লোকের সাথে তার হাতাহাতি হয়। হাতিহাতির সময় তার শরীরে গরম পানি পড়ে। আমি সে সময় সেখানে উপস্থিত থাকলেও এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজান শিশির জানান, ঘটনাটি জেনেছি, দোকানদারকে চিকিৎসা নিতে বলেছি।