প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:১৮
মিছবাহ্ দারোগা নয়, মিছবাহ ভাই !
সাধারনত পুলিশের অফিসারদেরকে আমজনতা দারোগা হিসেবে বলে থাকে কিন্তু হাজীগঞ্জ থানার এক অফিসারকে স্থানীয়রা দারোগা বা স্যার না ডেকে মিছবাহ ভাই ডাকে। এই মিছবাহ ভাইয়ের মূল পদবী আর নাম হলো উপ - পরিদর্শক মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম চৌধুরী। গত ২৫ মাস ধরে হাজীগঞ্জ থানায় কর্মরত রয়েছেন তিনি। এর আগে ছিলেন র্যাব ১১ তে কর্মরত। হাজীগঞ্জ থানায় যোগদানের পরেই যেন জ্বলে উঠেন। ক্ললেস মামলার তথ্য উদঘাটন, মাদকের বড় বড় চালান জব্দ, বহুবার থানার শ্রেষ্ঠ উপ পরিদর্শেকর পুরস্কার পাওয়াসহ একের পর এক তথ্য উদঘাটনে পারদর্শী দারোগা মিছবাহ হিসেবে নয় এখন তিনি হাজীগঞ্জবাসীর কাছে মিছবাহ ভাই হিসেবে বেশি পরিচিত লাভ করেছেন।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম চৌধুরী। র্যাব থেকে হাজীগঞ্জ থানায় যোগদান করেন ২০২১ সালের আগষ্টে। এর পরেই একের পর সাফল্য ধরা দিচ্ছে তার ঝুঁড়িতে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতিমধ্যে তিনি মাদক কারবারীদের কাছে আতঙ্কের নাম হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। সর্বশেষ গত ৩০ আগষ্ট ৩২ বছরের পলাতক ও হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ লাভলু (৫৫) নারায়ণগঞ্জ চাষার এলাকা হতে গ্রেফতার করেন, চলিত মাসের ১০ তারিখে টোরাগড় থেকে ১শ পিস ইয়াবাসহ আমান উল্লাহ(৩০) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেন, একই তারিখে একটি পিকআপ ট্রাককে ধাওয়া করে পৌর এলাকার খাটোরা বিলওয়াই হতে একটি পিক আপ ট্রাকসহ ৩০ কেজি গাঁজা এবং ১৫ বোতল হুইস্কিসহ মতলব দক্ষিনের আসামি মমিন পাটোয়ারী(৩০) গ্রেফতার করেন, গত ১৪ তারিখে উচ্চগাঁ"ওয়ে ৮'শত পিস ইয়াবা সহ যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন শাহিন (৪৪), ও আজাদ গাজী (৩০) গ্রেফতার করেন। আজাদ চাঁদপুর সদর উপজেলার সেনগাঁওয়ের বাসিন্ধা, সর্বশেষ গত বৃহম্পতিবার দিনগত রাতে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ২২ মামলার আসামী বাকিলার জাকিরকে ২৮০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করনে।
এ ছাড়া ও তিনি জেলা পুলিশের দেয়া শ্রেষ্ট উপ পরিদর্কের পুরস্কার পান ৭ বার। হাজীগঞ্জ থেকে ফরিদগঞ্জের একটি শাখা ব্যাংকিংয়ের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়া ক্লুলেস মামলার আসমীদেরকে কুমিল্লা বিশ্বরোডের একটি গ্যাস পাম্প থেকে দৌড়ে ধরেন। হাজীগঞ্জের বড়কুল থেকে একটি সিএনজি স্কুটার চুরি হওয়ার সূত্র ধরে সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে দুটি সিএনজি স্কুটার উদ্ধারসহ ৫ চোর আটক ও প্রাইভেট জব্দ করেন। উপজেলার বাকিলা বাজারের একটি মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান থেকে রাতের আধাঁরে চুরি যাওয়া ৫৭ পিস মোবাইল ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি ফোনের দোকান থেকে উদ্ধার করাসহ চোর ও চোরাই মোবাইল ক্রয়ের দায়ে যাত্রাবাড়ির সেই ব্যবসায়ীকে আটক করেন।
এ ছাড়া ছোট ছোট বহু মামলার তদন্ত গাঁজা, মাদক উদ্ধারে অগ্রনী ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করার কারনে আমজনতার কাছে ভাই হিসেবে পরিচিত পেয়ে গেছেন।