প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ২১:০৭
হাজীগঞ্জে রিসিভারকে ফাঁকি দিয়ে গভীর রাতে দালানঘর নির্মাণের সময় আটক- ২
হাজীগঞ্জে আদালতের নিয়োগকৃত রিসিভারকে ফাঁকি দিয়ে বিরোধকৃত সম্পতিতে গভীর রাতে স্থায়ী দালানঘর নির্মাণ কাজের সময় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত মো. ফখরুল ইসলাম (৪০) ও মো. রাকিব হোসেন (৩১) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে।
|আরো খবর
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের সিঁহিরচো গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে দালানঘর নির্মাণ কাজের স্থল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। তারা দুইজন ওই বাড়ির মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
ওই বাড়ির লোকমান হোসেন প্রধানীয়া জানান, একই বাড়ির মোখলেছুর রহমানের ছেলে বিবাদী মো. ফখরুল ইসলাম, মো. ফয়েজ আহম্মদ প্রধানীয়া, মো. রাকিব হোসেন, সুমন প্রধানীয়া ও মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মোখলেছুর রহমান দেড়শ বছরের চলাচলের পথ দখল করে দালানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেও সমাধান হয়নি। তাই গত ১৯ মার্চ তিনি বাদী হয়ে আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে, আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ওই সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু বিবাদীরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধকৃত সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহৃত রাখেন।
এ ঘটনায় তিনি আদালতে অবহিত করে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে আদালত গত ১২ এপ্রিল ওই সম্পত্তিতে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) রিসিভার হিসাবে নিয়োগ দেন। এরপরও বিবাদীরা রিসিভারের চোখ ফাঁকি দিয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রাখেন।
লোকমান হোসেন প্রধানীয়া বলেন, পুলিশ নির্মাণ কাজ চলমান রাখার সত্যতা পেয়ে তাদেরকে (বিবাদী) বার বার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু তারা পুলিশের নির্দেশনা না মেনে এবং রিসিভারের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনে ও রাতে বিল্ডিং (দালানঘর) নির্মাণ কাজ করতে থাকেন। সবশেষ বুধবার গভীর রাতে কাজ করার সময় পুলিশ দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নির্মাণ কাজের স্থল থেকে মো. ফখরুল ইসলাম ও মো. রাকিব হোসেন নামের দুই জনকে আটক এবং বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদনে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৬৭নং সিঁহিরচোঁ মৌজার বিএস ৩৩৯, ২০৬নং খতিয়ান, হাল ৭০১ দাগে .০১ একর। যার উত্তরে আবু তাহের, দক্ষিণে আব্দুল হাই, পূর্বে প্রতিপ (বিবাদী), পশ্চিমে নিজ (বাদী) এবং একই দাগে .০০৭০ একর। যার উত্তরে আব্দুল মালেক গং, দক্ষিণে আব্দুল হাই, পশ্চিমে রাস্তা এবং পূর্বে রাস্তা। যা দখল করে বিবাদীরা স্থাপনা নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।