প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫৮
বেলভিউ হাসপাতালকে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্যে নির্ধারণ
চাঁদপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে বেলভিউ হাসপাতালকে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের সাথে গতকাল বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে বেলভিউ হাসপাতাল পুরোটা নয়, ২য় ও চতুর্থ তলা করোনা ইউনিটের জন্যে নেয়া হয়েছে। আর এর জন্যে চিকিৎসক, নার্সসহ সব কিছুর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এবং ব্যয়ভার বহন করবে বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতি।
|আরো খবর
চাঁদপুরের মানুষ দীর্ঘদিন থেকে চাঁদপুরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চিকিৎসা অথবা ওইসব হাসপাতালের পক্ষ থেকে করোনা রোগী চিকিৎসায় ভূমিকা রাখার দাবি জানিয়ে আসছিল। কারণ, জেলা সদর হাসপাতালে রোগী সামাল দেয়া কঠিন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এই হাসপাতালটির ২য় ও ৩য় তলা আইসোলেশন ইউনিট করার পরও রোগীর চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্যে। মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলার পেইংবেড অংশকেও করোনা রোগীর জন্য নির্ধারণ করা হয়। সেখানেও মঙ্গলবার থেকে করোনা রোগী ভর্তি করা শুরু হয়। তারপরও এখনো ২য় ও ৩য় তলার বারান্দা এবং ওয়ার্ডের ভেতরে ফ্লোরে রোগী। এ অবস্থায় চাঁদপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্যে নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে লক্ষ্যেই গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাথে সভা করেন প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, জেলা বিএমএ'র সভাপতি ডাঃ মোঃ নূরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন্নবী মাসুম, বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সভাপতি ডাঃ এসএম সহিদ উল্যাহ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা বিএমএ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগর, বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।
সভায় চাঁদপুর শহরে অবস্থিত বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে স্পেস, চিকিৎসার মান ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনায় এনে বেলভিউ হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্যে নির্ধারণ হয়। এ হাসপাতালটির ২য় এবং ৪র্থ তলাকে করোনার জন্যে ডেডিকেটেড করা হয়। প্রথম অবস্থায় এখন ২০ জন রোগী ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়।