প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২১, ২১:২৮
সেচ প্রকল্পের জলাবদ্ধতা
আমনেরা বহুত লেখছেন, এবার স্যারেগো একটু কন
আমনেরা (সাংবাদিকরা) বহুত লেখছেন, এবার স্যারেগো একটু কন--এ কথাগুলো বলছিলেন মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জলাবদ্ধতার শিকার কৃষকরা। তারা স্যার বলতে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসানকে বুঝিয়েছেন।
|আরো খবর
তারা বলেছেন, শুনেছি স্যারেরা নাকি খুব ভালো মনের মানুষ। সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। স্যারদের কাছে মানবিক আবেদন, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি নিস্কাশন খালগুলো দখল মুক্ত করে আমাদেরকে জলাবদ্ধতার হতে রক্ষা করবেন। তা-না হলে প্রতি বছর মতো জলাবদ্ধতার কারনে ব্যাপক ফসলহানি ঘটলে আমরা মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো।
অব্যাহত প্রবল বর্ষণে চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সড়তে পারছে না। যার কারনে এ মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি,রাস্তা ও মৎস্য খামার।
কৃষকরা জানিয়েছেন, পানি সড়ার খালগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছেংগারচর বাজার এলাকায় পাউবো’র খালটি একে ভারে বন্ধ হয়ে আছে। খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি সড়তে না পারায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এবার জলাবদ্ধতার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবো। প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়। ফলে অনাবাদী থাকে কয়েক হাজার একর জমি। এভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সেচ প্রকল্পটি আমাদের জন্যে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৮৮ সালে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কয়েক বছর পর থেকেই পাউবোর ও সরকারি পানি নিস্কাশন খাল গুলো দখল ও ভরাট হতে থাকে। এখন অনেক খালের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া কস্টকর। তাই বৃষ্টির পানি নিস্কাশন হতে না পারায় এখানে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃস্টি হচ্ছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ প্রতি বছরই সাংবাদিকরা বিভিন্ন মিডিয়ায় তুলে ধরছেন। কিন্তু পাউবোর কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে উদাসিনতা দেখাচ্ছেন।