প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২১, ২০:৪১
স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের মতো কঠোর লকডাউন ভঙ্গ হচ্ছেই
স্বাস্থ্য বিধি না মানার প্রবনতা আরো আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু কঠোর লকডাউন না মানার প্রবনতা গত কয়েক দিনে বেশি করে দেখা দিয়েছে। দূর পাল্লার বাস ছাড়া সড়ক পথে সব ধরনের পরিবহন চলছে। এমন বাস্তব চিত্র রোববারসহ গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কসহ হাজীগঞ্জে দেখা গেছে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে ও সরজমিনে দেখা যায়, চলমান কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার পর কয়েকদিন ধরে যৎসামান্য স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা গেছে হাজীগঞ্জবাসীকে। স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারনে অনেক ব্যবসায়ী ও পথচারীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা গুনতে হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ সর্বাত্বক স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যথাসাধ্য শ্রম-ঘাম দিয়ে চেষ্টা করেছে আন্তরিকতার সহিত কিন্তু দিনশেষে মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। মূলত এ কারনে কঠোর লকডাউনের মধ্যে মানুষ মানেনি স্বাস্থ্য বিধি।
স্বাস্থ্য না মানার পাশাপাশি কঠোর লকডাউন না মানার প্রবনতা প্রকট হয়ে উঠে যাত্রী,পথচারী কিংবা চালকদের মধ্যে। ভাড়ায় চালিত ছোট ছোট গনপরিবহন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা,ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, রেন্ট এ কারে ব্যবহৃত জিপ ও মাইক্রোবাসগুলো মিথ্যে তথ্য দিয়ে চলাচল করেছে সমানতালে। মূলত চলমান কঠোর লকডাউনের কয়েকদিন পর হতেই এ্যাসিড টেষ্টের মতো কিংবা পরীক্ষামূলকভাবে সাধারন লোকজন বাড়ির বাইরে বের হতে শুরু করে। একইভাবে এ্যাসিড টেষ্টের মতো ছোট পরিবহনগুলো অল্প অল্প করে চলাচল করতে শুরু করে
এসব দেখেই একটা সময় দুরপাল্লার বাসছাড়া সব ধরনের যান চলাচল শুরু করে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ট্রাফিক ইন্সফেক্টর জাহাঙ্গীর জানান,চলমান কঠোর লকডাউন না মেনে সড়কে চলাচলের দায়ে আমরা বহু মামলা করেছি। বেশ কিছু সিএনজি স্কুটার ও অটোরিক্সা আটক করেছি। অনেক চালক ও যাত্রী এক হয়ে গাড়িতে রোগী আছে বলে মিথ্যে তথ্য দিয়ে রাস্তায় চলাচল করার বৃথা চেষ্টা করেছে।