প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:১৭
ধেররা বাজার মৎস্য আড়ৎদারদের ইজারা বাতিলের আবেদন
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ধেররা মৎস্য আড়ৎদারদের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ধেররাস্থ দোকান মালিক ও আড়ৎদারগন। গত শনিবার (২৫ ফেব্রæয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আড়ৎদারগন।
উক্ত বাজারের মৎস্য আড়ৎদারদের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়ে দোকান মালিকদের পক্ষে সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন এবং মৎস্য আড়ৎদারদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, শতরুপা মৎস্য আড়ৎতের মালিক নির্মল চন্দ্র দাস ও মা-বাবার দোয়া মৎস্য আড়তের মালিক মো. শাহআলম।
তারা বলেন, ধেররায় নিজস্ব ভূমিতে দোকান-ঘর নির্মাণ করে কেউ নিজে, আবার কেউ ভাড়া দিয়েছেন। এসব ঘরে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সবাই মৎস্য আড়ৎদারের ব্যবসা করে এবং দোকান-ঘরের খাজনা বাবদ পৌরসভার টেক্স দিয়ে থাকে। এখানে সরকারি খাস কিংবা পৌরসভার কোন নিজস্ব ভূমি বা বাজার নেই। সারাদিনে ভোর রাতে মাত্র এক এখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলে। অথচ গত কয়েক বছর ধরে এই মৎস্য আড়ৎগুলোকে মাত্র ১ ঘন্টার জন্য বাজার হিসাবে পৌরসভাকে নিয়মিত ইজারা দিয়ে আসছে।
তারা আরো বলেন, বাজার হিসাবে ইজারা দেওয়ার টাকা আমরা ব্যবসায়ীরা (আড়ৎদাররা) সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে পরিশোধ করছি। কারণ, মাছ ব্যবসায়ী বা মাছ চাষীদের কাছ থেকে টাকা নিলে, এই আড়ৎগুলোতে মাছ আসা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু দিনে দিনে খরচ বৃদ্ধি ও বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণে মাছ ব্যবসায়ী বা মাছ চাষীদের কাছ থেকে আমরা সামান্য কিছু করে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছি। এতে করে অনেক ব্যবসায়ী বা মাছ চাষী এখানে মাছ আনা বন্ধ করে দিয়েছেন। যার ফলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের দৃষ্টি আকর্ষন করে তারা বলেন, এখানে বর্তমানে ২০টি মাছের আড়ৎ রয়েছে। এসব মাছের আড়তে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষোভাবে কয়েক শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান। তাই, এই আড়ৎগুলোকে রক্ষায় এবং আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে পৌরসভা কর্তৃক ইজারা বাতিল করা প্রয়োজন। তা না হলে, এখানে মাছ ব্যবসায়ী ও মাছ চাষীরা মাছ আনা বন্ধ করে দিবেন। এতে আমরা দোকান মালিক ও মৎস্য আড়ৎদাররাসহ কয়েক শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের বন্ধ হয়ে যাবে।
এ সময় রুপালী মৎস্য আড়ৎ, সোনার বাংলা মৎস্য আড়ৎ, মা মৎস্য আড়ৎ, ওয়ান স্টার মৎস্য আড়ৎ, ভাগিনা মৎস্য আড়ৎ, যমুন মৎস্য আড়ৎ, আদর্শ মৎস্য আড়ৎ, জননী মৎস্য আড়ৎ, রামপুর মৎস্য আড়ৎ, সততা মৎস্য আড়ৎ জনতা মৎস্য আড়ৎ, একতা মৎস্য আড়ৎ, রহমান মৎস্য আড়ৎ, ভাই ভাই মৎস্য আড়ৎ, মায়ের দোয়া মৎস্য আড়ৎ, শাহরাস্তি মৎস্য আড়ৎ, আল্লাহর দান মৎস্য আড়ৎ ও পল্লবী মৎস্য আড়ৎ মালিক ও কর্মচারী (শ্রমিক) সহ দোকান মালিকের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।