প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:২৫
ফরিদগঞ্জে পানিশুন্য সেচ খাল খনন শুরু
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ভুক্ত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ পূর্বা লের বিভিন্ন অ লে খালে পানি না থাকায় বোরো আবাদ ব্যহত ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে খাল খনন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নে কর্মসূচী উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান , ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুুরুন্নীব নোমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, তার ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের শত শত হেক্টর জমির সেচ পানির অভাবে অদ্যবদি বোরো আবাদ করতে পারছে না। তাই আমরা ভরাট হয়ে যাওয়া খালে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন শুরু করেছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে প্রতিবন্ধকতা দুর করার সাথে সাথে খনন কাজ শুরু করেছি।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে রোরো আবাদের জন্য জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেচপ্রকল্পভুক্ত খালে পানি আসার কথা থাকলেও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলা পূর্বা লের গুপ্টি পূর্ব, গূপ্টি পশ্চিম, রূপসা উত্তর, রূপসা দক্ষিণ এবং পৌর এলাকায় কয়েকটি ওয়ার্ডে শতশত একর ফসলি জমি তৈরির পরও পানির অভাবে ধানের চারা লাগাতে পারছে না চাষীরা।
গত মঙ্গলবার(৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, কৃষি বিভাগের লোকজন, পাউবো ও বিএডিসি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়।বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ খালগুলোর বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন বলেন। দখলে ও দূষণে প্রতিটি ইউনিয়নে সেচখালগুলো অস্তিত্বসংকটে রয়েছে। তাছাড়া অনেক খাল রয়েছে বহু বছর খনন করা হয় না। এগুলো ইতিমধ্যেই ভরাট হয়ে যাওয়া এবং ন্যবতা না থাকায় এই দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে বুধবার(৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ড না ছাড়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এখন বোরো আবাদের জন্য এই পর্যন্ত ৬০৮টি সেচপাম্প চালু রয়েছে। ফলে খালে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তা দিয়ে সেচপাম্পগুলো চলার কারণে পূর্বা লে খাল গুলোতে পানি যাচ্ছে না।
এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান, একমাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও খালে পানি না থাকায় তারা বোরো আবাদ থেকে বি ত। হয়তবা তাদের জমি গুলো এবছর আবাদ শূন্য থাকতে পারে।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, সেচখালে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কর্মসূচী গ্রহণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেছি। এছাড়া আগামীতে ৪০ দিনের কর্মসূচীসহ টি আর কাবিটার প্রকল্পকে কাজে লাগানো যেতে পারে।