প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২২, ২২:৪১
হাইমচরে জেলের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
হাইমচর উপজেলায় জেলেদের মাঝে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতি ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ২৩ কেজি চাল। ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের এই চাল দেয়া হচ্ছে। আগামী ৭অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন দেশব্যাপী মা ইলিশ আহরণ, বিপণন,পরিবহন, কেনা-বেচা, বিনিময় ও মজুদ নিষিদ্ধ থাকবে।
|আরো খবর
বুধবার সকালে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের ১ ও ৯নং ওয়ার্ডের জেলের মাঝে চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে পাঁচজন জেলের হাতে চাল তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী মাস্টার। এতে উপস্থিত ছিলেন, ট্যাগ অফিসার একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান জুয়েল ও ইউপি সদস্যসহ আরও অনেকে। সরেজমিনে জানা যায়, জেলেদের জনপ্রতি ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ২৩ কেজি চাল। চাল নিতে আসা বেশ কয়েকজন জেলে এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, তাদের ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়নি। জেলেদের এই অভিযোগের বিষয়ে চরভৈরবী ইউপি চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী মাস্টার কে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
জেলেদের চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে ইউপি সদস্য পারভেজ হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের একটা খরচ আছে। গুদাম থেকে চাল আনতে গাড়ি ভাড়া,গাড়ি থেকে নামানো, ওই চাল যারা ওজন করছেন তাদের দুই-চার কেজি দেয়া সব মিলিয়ে ওজনে চাল কিছুটা কম দেওয়া হচ্ছে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘জেলেদের চাল কম দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ পরিবহনের জন্য টন হিসাব করে খরচ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।’ চাউলটা আমরাই বরাদ্দ দেই এটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও টেগ অফিসার থেকে বিতরণ করেন। ২৫ কেজির জায়গায় যদি ২০ কেজি দেয় এটা তো আমরা মেনে নিতে পারিনা।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টা আমি এই মাত্র শুনলাম। জেলেদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যারা ওজনে কম দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’