বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৭

পুরাণবাজারে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন

পুরাণবাজারে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন
অনলাইন ডেস্ক

দশমীর ধুপতী,সিঁদুর খেলা ও বিসর্জনের বিষাদ নিয়ে ছলছল চোখে বুধবার (৫ অক্টোবর) দুর্গা দেবীকে বিদায় জানিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সমকণ্ঠে ‘জয়, দুর্গা মায়ের জয়’ বলতে বলতে ডাকাতিয়া ও মেঘনা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেন তারা। এ সময় মনোবাঞ্ছা পূরণে সিঁদুর মেখে শেষবার প্রণাম করেন দুর্গা দেবীকে।

চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে এ দিন ১১টি দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

বুধবার বিকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় পুরাণবাজার দাসপাড়া বাদামতলী বাড়ি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সবাই দুর্গা মাকে বিদায় জানাতে মহিলারা ধুপ খেলা ও 'সিঁদুর খেলা'-এ মেতে ওঠেন। এ পূজা কমিটির সভাপতি সত্যরঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক বেবিন্টন দাস কিরণ ও উপদেষ্টা উত্তম কুমার দেসহ কমিটির সদস্যরা শৃঙ্খলার সাথে তাদের প্রতিমা বিসর্জন দেন।

একে একে দাসপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদ,নিতাইগঞ্জ,হরিজন কলোনী,হরিসভা,ঘোষপাড়া, পালপাড়া,বারোয়ারী মন্ডপ,নবপল্লীসহ পুরাণবাজারের সবগুলো দুর্গা প্রতিমা নির্দিষ্টস্থানে বিসর্জন দেয়া হয়।এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।

কৈলাসে ফিরবেন দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে পূজা-অর্চনার পর নানান আয়োজনে বিসর্জন দেওয়া হয় দেবীকে। ‘বাবার বাড়ি বেড়ানো’ শেষে মা দুর্গা এক বছরের জন্য ফিরে যাবেন ‘কৈলাসের শ্বশুরালয়ে’। আর এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ ‘শারদীয় দুর্গোৎসব।’

গত শনিবার (১ অক্টোবর) ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজা। রোববার ছিল মহাসপ্তমী ও সোমবার মহাঅষ্টমী। আর মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) শুরু হয় নবমীর আনুষ্ঠানিকতা। পুরোহিতদের মতে, মহানবমীতে ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হয় দেবী দুর্গার। এ ছাড়া নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে মহানবমীর বিহিত পূজা হয় মঙ্গলবার। নবমীর দিনে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয়া দশমী দুর্গাপুজোর উৎসবের শেষ দিন। প্রতিমাগুলি বরণ করে মহিলারা 'সিঁদুর খেলা'-এ মেতে ওঠেন। এরপর জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়ার হয় প্রতিমাগুলি। ঘট বিসর্জনের অর্থ, পুজো সমাপ্তি। বিসর্জনের সময় লম্বা শোভাযাত্রা বের করে। যেখানে নাচে- গানে, হাসি মুখে সকলে বিদায় জানান উমাকে। এদিন বরণ, সিঁদুর খেলা, বিসর্জন ও বিজয়া উৎসবের সূচনা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়