প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১৫
চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক
অটোবাইক বন্ধ না করে নিয়মের মধ্যে আনতে চাই
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, নতুন করে পৌরসভা থেকে অটোবাইকের লাইসেন্স দেয়া হবে না। তবে মানুষেরও কর্ম দরকার।অটোবাইক আমরা বন্ধ করতে চাই না, কিন্তু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে চাই।
|আরো খবর
সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর শহরের যানজট নিরসনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলাবাসীর স্বার্থে কাজ করতে এসেছি। তার মধ্যে প্রধান কাজ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। সেক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। যানজট এখন এই শহরের সবার জন্যে একটা বড়ো ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকলেই এই যানজট থেকে পরিত্রাণ চায়।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স নতুন করে দেয়া যাবে না। যাদের আগে থেকেই লাইসেন্স ছিলো, তাদের হয়তো নবায়ন করার জন্যে দেয়া যেতে পারে।
ইজিবাইক প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, অটোবাইক বা ইজিবাইকের দুটি কালার করতে চাই। আজকে যে কালার চলবে কালকে সেই কালার চলবে না। বৈধভাবে লিস্ট করে কালার করে দিতে হবে। ইজিবাইক যদি অর্ধেক হয়ে যায়, তাহলে শহরের যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে। তবে অটোবাইক বা ইজিবাইকগুলো এনলিস্ট করতে হলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে করতে হবে। কোনো অটোবাইক বা ইজিবাইকের চালকের ডানপাশে কেউ বসতে পারবে না।
ফুটপাতের দখল নিয়ে তিনি বলেন, যানজটমুক্ত করতে হলে ফুটপাতগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। প্রতিটি দোকানি তার দোকানের সামনে কিছু জিনিসপত্র রেখে ফুটপাত দখল করে নিচ্ছে। সেসব স্থানও মুক্ত করতে হবে।
চাঁদপুর শহরে বড়ো গাড়ি চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জরুরি পণ্যসেবা ছাড়া শহরে লরি, ট্রাক, তেলবাহী গাড়িগুলো রাত ৯টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। দিনের বেলা শহরে এ সমস্ত ট্রাক, লরি ও কার্গো ভ্যান চলবে না।
বাস ও মাইক্রোবাস চলাচল প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, আইদি বা বোগদাদ পরিবহনের বাস বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার পর নির্দিষ্ট টিকিট কাউন্টার ছাড়া যাত্রী উঠানো যাবে না। মাইক্রোবাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাখা যাবে না। মাইক্রোবাসের কোনো স্ট্যান্ড থাকে না। যেহেতু এটা কোনো বাণিজ্যিক পরিবহন না।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা চাঁদপুরবাসীর সেবা করার জন্যেই এসেছি। শহরে কালার দিয়ে অটো চলতে হবে। অটোবাইকগুলো ২ কালার করা উচিত। আমরা আইন প্রয়োগ করছি, কিন্ত বেশি গাড়ি থাকার কারণে তা দৃশ্যমান হচ্ছে না। সম্মিলিতভাবে আমরা শহরের যানজটমুক্ত করবো।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক, চাঁদপুর পৌরসভার সিইও আবুল কালাম ভূঁইয়া, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার, সমকাল প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, মেঘনা বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক গিয়াস উদ্দিন মিলন, সময় টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক ফারুক আহাম্মদ, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর সভাপতি এমএ লতিফ প্রমুখ। সভায় সংশ্লিষ্ট অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।