বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৩১

৩ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হলো ১১ হাজারে

কামরুজ্জামান টুটুল
৩ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হলো ১১ হাজারে

সর্বমোট মাছের দাম প্রায় ৩ লাখ টাকা আর সেই মাছ বিক্রি করা হলো মাত্র ১১ হাজার টাকা। এ ঘটনায় মাছ চাষীর কপাল পুড়েছে। মাছ চাষ কৃত পুকুর পাড়ে গরুর খামারের বর্জের কারনে এমনটি হয়েছে বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করছেন। গত বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে বেপারী বাড়িতে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়,বেপারী বাড়ির ৬০ শতাংশের পুকুরটি মাছ চাষের জন্য ৯০ হাজার টাকাঢ ২ বছরের ইজারা নেন পাশের আ: কাদের গাজীর ছেলে সুমন গাজী। সেই পুকুরে সুমন গাজী প্রায় দেড় লাখ টাকার রুই কাতল মৃগেলসহ দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা ফেলেন প্রায় ৬ মাস আগে। ইতিমধ্যে সেই পোনা মাছে ৬/৭ শ গ্রামে সাইজ আসে। এর মধ্যে সেই পুকুরের পাড়ে গো-খামার দেন একই বাড়ির সেকান্দর বেপারীর ছেলে সফিক (৫০)। গত কয়েক দিনে সফিক গাজীর গরুর খামারের বর্জ বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ে। ফলে পুকুরের সকল মাছ গত বুধবার সন্ধ্যা রাত থেকে মরে যেতে শুরু করে।

মৎস চাষী সুমন গাজী জানান, বুধবার সন্ধ্যা রাতে পুকুরে মাছ দেখতে গিয়ে দেখি মাছগুলো অতিরিক্ত লাফালাফি করছে। পরে ভালো করে নজর দিয়ে দেখি পুরো পুকুরে একই অবস্থা। এর পর সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে লোকজন নিয়ে পুরো রাত ধরে কিছু মাছ ধরতে পরেছি। ৮০ ভাগ মাছ মরে পুকুরের পানিতে ডুবে যাওয়ার কারনে মাছ পাইনি। পুরো রাত মাছ ধরে পরের দিন বৃহস্পতিবার সেই মাছ মাত্র ১১ হাজার টাকা বিক্রি করি। এ সময় সুমন আরো জানান, পুকুর পাড়ের বাসিন্ধা সফিক মিয়াকে বারবার আমিসহ বাড়ির অন্যরা বলেছে পুকুরের পাড়ে যে গরুর গোবর না ফেলে। সে কারো কথা না মানার কারনে আজকে আমার সর্বনাশ হয়ে গেলাে।

সুমন গাজীর প্রতিবেশী মাঈনুদ্দিন মিয়াজী জানান, সুমনের মাছ ধরার সহযোগিতা করতে গিয়ে দেখি পুরো পানিতে গরুর গোবরের গন্ধে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। বেপারি বাড়ির সন্তান ও বাকিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু জানান, আমাদের বাড়ির পুকুরটির চারপাশে যেসব পরিবার পুকুরে ময়লা ফেলে তাদেরকে অনেক বার বলা হয়েছে পুকুরে ময়লা না ফেলার জন্য। যেহেতু একটি সমস্যা হয়ে গেছে সেই হিসেব চিন্তা করে পুকুর লিজ নেয়া সুমনকে সবাই মিলে সেক্রিফাইজ করা উচিত।

বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন জানান,মাছ চাষী সুমন গাজী ফোনে আমাকে তার ক্ষতির বিষয়টি জানিয়েছে। সে অভিযোগ দিলে আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়