প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২২, ২৩:০০
রূপসাবাজারে গরুর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি, ব্যবসায়ীরা হাঁকাচ্ছেন অধিক মূল্য
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঈদের আগের দিনে অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতার তুলনায় গরুর সংখ্যা কম হওয়ায় বিক্রেতারা হাঁকাচ্ছেন অতিরিক্ত দাম, হতাশার চিত্র ক্রেতাদের মধ্যে।
|আরো খবর
৯ জুলাই (শনিবার) ফরিদগঞ্জের অন্যতম বৃহত্তম গরু ছাগলের অস্থায়ী হাট রূপসা বাজার গুরে দেখা যায় হাটে গরুর সংখ্যা একেবারে হাতে গোনা মাত্র। প্রতি বছর ঈদের পূর্বে এই হাটটিতে হাজার হাজার গরু উঠলেও এদিন সকাল থেকেই পুরো মাঠে মাত্র দুই শতাধিক গরু উঠেতে দেখা গেছে, ছাগলের সংখ্যাও নাম মাত্র । এতে করে অন্যান্য বছরগুলোতে এ বাজারটিতে গরু ছাগল ক্রয়-বিক্রিয়ের হিরিক থাকলে এবার তার পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। ঈদের আগের দিন শেষ বাজার হওয়ায় বাধ্য হয়েই অধিক মূল্যে কুরবানির পশু ক্রয় করতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
কুরবানী ব্যতিত সাধারণ সময়ে এ বাজারটিতে সপ্তাহের শনিও বুধবার গরু ছাগলের বাজার বসে এবং এবার ঈদের পূর্বের দিনের হাট হওয়ায় উপজেলায় অন্যান্য বড় বাজারগুলো থেকে এই বাজারটিতে ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হওয়ার কথা। এদিকে হাটে প্রত্যাশিত গরু-ছাগল না থাকায় হতাশার চিত্র ইজারাদারদের মধ্যেও৷
হাটে ক্রেতা হিসেবে আসা ওমর ফারুক ফরিদগঞ্জ সংবাদের এই প্রতিনিধিকে জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে গরুর দাম অনেক বেশী,চাহিদা মত গরু পাচ্চিনা,আবার পচন্দ হলেও দাম অনেক বেশী চাচ্ছে, যা আমার বাজেটের চেয়েও বেশী।
গরুর ব্যবসায়ী আবু তালেব জানান, আমি বিশটি গরু এনেছি আর মাত্র দুটি গরু আছে। গত বছর কুরবানির গরু বিক্রি করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লছ হয়েছে। এবার বিশেষ করে আজকের আমাদের যে দামে গরু বিক্রি হচ্ছে আশা করছি গতবারের ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
হাটের ইজারাদারের সহযোগী মারুফ বলেন, অন্যান্য বছর এমাঠে দেড় থেকে দুই হাজার গরু বিক্রি হয়,অথচ এবছর মাঠ ফাঁকা,ক্রেতার চাহিদার তুলনায় গরুর একেবারেই কম। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মাত্র ৩০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়েছে।