প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৫, ১৫:০৯
কোরবানির পশুতে প্রায় শতাধিক আহত

কোরবানির গরু-ছাগল জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে, গরুর লাথি গুঁতায় এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
|আরো খবর
জানা যায়, কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু চাঁদপুর শহরেই আহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। শনিবার (৭ জুন ২০২৫) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আহতরা এসে চিকিৎসা নেন। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আরো অনেকে। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে কারো কারো আঙ্গুলও কাটা পড়েছে। গরুর লাথি-গুঁতা খেয়ে হাত-পায়ের হাড় ভেঙে অনেকে কাতরাচ্ছেন।
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ম্যানেজার বাড়ির ফারুক, নতুন বাজারের শিমুল হাসান, আমিন, সাদেক ও জসিম মেহেদীসহ কয়েকজন আহত ব্যক্তি জানান, কোরবানির ঈদে নিজেদের পশু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে তারা আহত হয়েছেন। বিশেষ করে ছোট ছুরি দিয়ে গরুর মাংস কাটতে গিয়ে হাতে ছুরি লেগে কেটে যায়। পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয়। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নোমান মিয়া জানান, শুধু ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী এসেছেন। এদের মধ্যে হাতে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। তবে বিকেল থেকে রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শর্মিষ্ঠা দে বলেন, ঈদের দিন সকাল থেকে চিকিৎসা নেয়া রোগীদের মধ্যে কেউ গরুর গুঁতা, আবার কেউ ছুরি চালাতে গিয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলেছেন। সব মিলিয়ে দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৫-৭ জনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এছাড়া ১০-১২ জন চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার সংখ্যাই বেশি।