প্রকাশ : ০৮ মে ২০২২, ২১:৫৪
ফরিদগঞ্জে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা গুরুতর আহত ॥ এলাকায় থমথমে অবস্থা
৮ মে রোববার দিনভর ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের পরস্পর বিরোধী দুটি গ্রুপের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের অনুসারী, অপর গ্রুপে রয়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমানের অনুসারী।
|আরো খবর
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন চেয়ারম্যান গ্রুপের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন ও মশিউর রহমান মিঠু। তাদের চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক গত মাসে ঘোষিত ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ গতকাল আনন্দ মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ খবর শুনে একইদিন শফিকুর রহমান এমপির গ্রুপের নেতা-কর্মীরাও ঈদ পুনর্মিলনী ও আনন্দ মিছিল করতে জড়ো হতে থাকে। উভয় গ্রুপ বাজারের উপরেই জড়ো হতে থাকে। এর আগেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় ককটেল বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এ সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
এ নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল বলেন, মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে তিনি দাবি করছেন।